নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিজানুর রহমান মিনু বলেন, দেশের কোন গণতন্ত্র না থাকায় বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরা সভা সমাবেশ করতে পারছেনা। সরকারী দল শুক্রবার জেএসসি পরীক্ষা থাকা সত্ত্বেও নগরীর পি.এন গার্লস স্কুলের সামনে সমাবেশ ও মিছিল করতে পারে। অথচ জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের সমাবেশে সরকার তার পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে ১৪৪ ধারা জারী করে রাখে। একই স্থানে দ্বৈতনীত অবলম্বন করছে এই অবৈধ সরকার। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের সব থেকে ঘৃণীত স্বৈরশাসক হীটলারকেও ছাড়িয়ে গেছে। আগামীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বের সব থেকে বড় স্বৈরাচার হিসেবে আখ্যা প্রদান করবে বলে জানান তিনি।
আজ শনিবার বিকেলে নগরীর ভুবনমোহন পার্কে মহানগর বিএনপি ও জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট ধন্যবাদ সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক জননেতা মিজানুর রহমান মিনু এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী বাঘের পিঠে উঠেছেন। নামলেই বাঘে খাবে এই ভয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন এবং জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের সাত দফা দাবি মেনে নিচ্ছেনা। পুণরায় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তড়িঘড়ি করে সংসদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষনা করেছে। কিন্তু বেগম জিয়ার মুক্তি ও সাত দফা না মানা পর্যন্ত এই দেশে কোন নির্বাচন আর হতে দেওয়া হবেনা বলে তিনি উল্লেখ করেন। সেইসাথে শনিবার রাতে, জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সেই আন্দোলনে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহবান জানান মিনু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শাহীন শওকত খালেদ, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল হুদা, নওহাটা পৌর মেয়র আলহাজ্ব শেখ মকবুল হোসেন ও গণ ফোরাম রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট হোসেন আলী পেয়ারা।
সাবেক মেয়র বুলবুল বলেন, শুক্রবার, অত্যাচর, নির্যাতন ও নজিরবিহিন বাধা প্রদান করেও মহাসমাবেশ এই সরকার ও তার আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনী রুখতে পারেনি। দেশের স্বার্থে এবং গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার ও বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে বিএনপি ও জনগণ জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের সাথে আছে, আগামীতেও থাকবে।
বিএনপি নেতা মিলন বলেন, বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতাকর্মীদের ঘরে ভিতরে বন্দি করে রাখার দিন শেষ হয়ে গেছে। এখন থেকে সভাসামবেশ ও মিছিল করতে আর পুলিশের সম্মতি নেওয়া হবেনা। সরাসরী তারা রাস্তায় আন্দোলন করবেন। বাধা দিলে এর দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে।
অন্যদের মধ্যে বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান শরীফ, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি ঈশারউদ্দিন ঈশা, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ওয়াজির, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি গোলাম নবী গোলাপ, ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব শহীদ আলম, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ পারভেজ পিন্টু, ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, বর্তমান সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন,মহানগর তাঁতী দলের সভাপতি আরিফুল শেখ বনি, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার রহমান ভুট্টো, সহ-সভাপতি সুলতান আহম্মেদ, মোজাফ্ফর হোসেন মুকুল, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন ও আমিফ হোসেন আবু, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বাবলু, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপিকা সখিনা খাতুন, নুরুন্নাহার ও নাসিরা খানম, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য ইলিয়াস ভীন কাশিম, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাক রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সরিফুল ইসলাম জনিসহ বিএনপি সাংগঠনিক ৩৫টি ওয়ার্ডের বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
স/অ