সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
বাঙালি’ শব্দের আগে ‘দুষ্কৃতকারী’ শব্দ ব্যবহারের কারণ ব্যাখ্যা করতে হাইকোর্টের করা তলবে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আশরাফুল ইসলাম আজ সোমবার রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে হাজিরা দিয়েছেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাইবান্ধার এসপি আদালতে হাজির হয়ে সাঁওতালদের ঘটনায় তৈরি প্রতিবেদনে ব্যবহৃত শব্দের ব্যাখ্যা দিতে এসেছিলেন। তবে আজ সুপ্রিম কোর্ট হঠাৎ ছুটি ঘোষণা করায় তিনি রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে হাজিরা দেন।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর ‘বাঙালি’ শব্দের আগে ‘দুষ্কৃতকারী’ শব্দ ব্যবহারে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুস সামাদকে ক্ষমা করলেও একই শব্দ প্রয়োগের ব্যাখ্যা দিতে গাইবান্ধার এসপিকে তলব করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ২ জানুয়ারি তাকে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়।
ওইদিন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুস সামাদ তার ব্যাখ্যায় বলেন, সাঁওতালদের ঘটনায় এসপির দেওয়া প্রতিবেদনের আলোকে তিনি হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেওয়ায় শব্দটি রয়ে গেছে। ডিসির এ ব্যাখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে একই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে এসপিকে তলব করেন আদালত।
গত ৬ ডিসেম্বর ‘বাঙালি’ শব্দের আগে ‘দুষ্কৃতকারী’ শব্দ ব্যবহারের ব্যাখ্যা দিতে গাইবান্ধার ডিসিকে তলব করেন হাইকোর্ট। তাকে সশরীরে হাজির হয়ে ওই শব্দ প্রয়োগের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। আদালত বলেন, ‘গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক বাঙালিদের দুষ্কৃতকারী বলেছে। একাত্তরের আগে এটা মানা যেত।’ এরপর আদালত থেকে ডিসিকে তলব কারা হয়।
সূত্র : বাংলাট্রিবিউন