সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের তিতারকান্দি এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ১০ ছাত্রলীগ কর্মীকে আসামি করে বুধবার রাতে মামলা করেছেন নির্যাতিতা ওই তরুণী। মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী পারভেজ হোসেন, আদনান হোসেন, ফাহাদ উদ্দিন, হৃদয় ও পিয়াস উদ্দিনসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় চরশাহী ইউনিয়নের রামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী আদনান হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। আদনান রামপুর গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে ও চরশাহী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ওই তরুণীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার দিঘলী থেকে চরশাহীর তিতারকান্দি এলাকায় খালার বাড়িতে বেড়াতে যায় ওই তরুণী ও তার ভাই। রাতে খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই বাড়িতে ৮/১০ জনের একদল যুবক প্রবেশ করে। পরে ওই তরুণী ও তার ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় তারা। একপর্যায়ে ভাইকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে দিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে যায় তারা। পরে চরশাহীর রামপুর এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী ফাহাদ উদ্দিনের বাড়িতে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে বুধবার বিকালে অভিযান চালিয়ে ফাহাদ উদ্দিনের বাড়ি থেকে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নির্যাতিতা বাদী হয়ে ১০ ছাত্রলীগ কর্মীকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন। বর্তমানে ওই তরুণী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
চরশাহী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল করিম রিয়াজ জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা ও চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদ বলেন, বিষয়টি আমার পুরোপুরি জানা নেই। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা সবাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে আমার ভাগিনা ফাহাদ উদ্দিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। তাই তাকে ষড়যন্ত্র করে জড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন জানান,এ ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী।
লক্ষ্মীপুর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. নাসিম মিয়া ও চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান জানান, নির্যাতিতাকে স্থানীয় ফাহাদ উদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণ ও গণধর্ষণের ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে চন্দ্রচঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আদনান হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
সূত্র: বাংলাট্রিবিউন