পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্কুল চলাকালীন সময়ে শ্রেণীকক্ষে ঢুকে প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্রের মাথার চুল এলোমেলো ভাবে কেটে বিপাকে পড়েছেন স্কুল কমিটির সভাপতি এবাদুল হক। পরে ক্ষুদ্ধ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
এছাড়াও এলোমেলোভাবে চুলকাটা শিক্ষার্থীদের সেলুনে নিয়ে নিজের খরচে তাদের চুল কেটে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সভাপতিকে।
তবে শিক্ষা অফিস বলছে, শ্রেণী কক্ষে এভাবে শিক্ষার্থীর চুল কাটার অধিকার শিক্ষক বা সভাপতি কাররই নেই। এ ব্যপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজ (২৬ আগষ্ট) সোমবার উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের সড়িষাবাড়ি স্কুল চত্বরে ইউপি চেয়ারম্যান ও অভিভাবক মহলের উপস্থিতিতে এক সালিশ বেঠকে সভাপতি এবাদুল হকের ক্ষমা চান এবং গত ২৫ আগষ্ট রোববার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে সভাপতি চুল কাটার ঘটনা ঘটান। আ.লীগ নেতা এবাদুল হক জিউপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি গত আড়াই মাস পূর্বে স্কুলটির সভাপতির পদ পান।
জানা গেছে, গত রোববার এবাদুল হক কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করে স্কুলের ৬ষ্ট শ্রেণী থেকে ১০ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক স্কুল ছাত্রের মাথার চুল এলোমেলো করে কাটেন। যাদের মধ্যে অনেক ছাত্রের চুল তুলনামুলক ছোট রয়েছে তারপর ও তাদের চুল কেটে দিয়েছেন সভাপতি। এরপর শিক্ষার্থীরা বাড়িতে গেলে তাদের মাথার চুলের এমন অবস্থা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা।
অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা বেগম, অভিভাবক মহল, শিক্ষক শিক্ষার্থী ও পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে স্কুল চত্বরে শালিষ বেঠক বসান। সেখানে উভয় পক্ষের বক্তব্য শেষে স্কুল কমিটির সভাপতি এবাদুল হক উপস্থিত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চান।
স্কুল কমিটির সভাপতি এবাদুল হক চুল কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, স্টাইলিশ কাটিং চুল কাটতে নিশেধ করার পরও তারা না শোনায় কয়েকজনের চুল কাটা হয়েছে। বিষয়টি মিমাংশা করা হয়েছে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা বেগম জানান, চুল কাটায় সভাপতি অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। অভিভাবকরাও তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক জানান, এভাবে শিক্ষার্থীর চুল কাটার অধিকার শিক্ষক বা সভাপতি কাররই নেই। উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স/অ