নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া শ্যালিকা ইভা আক্তার (১২) ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় দুলাভাই এখলাস উদ্দীন (২০) র্যাবের এনকাউন্টারে নিহত হয়েছেন। নিহত এখলাস পুঠিয়া উপজেলার গন্ডগোহালী গ্রামের কাশেমের পূত্র।
পুঠিয়া থানার ওসি রেজাউল ইসলাম জানান, পুঠিয়া উপজেলার পুঠিয়া বাজারের বাসিন্দা সেলিম উদ্দীনের কন্যা ইভা আক্তার (১২) গত ২৫ জানুয়ারি দুলাভাই এখলাসের বাড়িতে যায়। ওই রাতেই দুলাভাই তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। পরে ইভা বাবার বাড়ী চলে আসে। পরে গত ২ এপ্রিল বড় বোন শোভা বাবার বাড়ীতে বেড়াতে এলে বোনের মন খারাপের কারণ জানতে চায়।
এসময় ইভা বোনকে সব খুলে বলে। এঘটনায় বোন শোভাকে স্বামীর কাছে জানতে চাইলে তাকে উল্টো তালাকের ভয় দেখায় এখলাস। এনিয়ে গ্রামে শালিশী বৈঠকও হয়। এর দুদিন পর গত ৯ এপ্রিল ইভা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এঘটনায় মামলা হয়। মামলার বাদীে ছিলেন ইভার বাবা।
র্যাব জানায়, এখলাস মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। মাদক বিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে মঙ্গলবার ভোরে পুঠিয়ার পীরগাছা গ্রামে র্যাব তাকে আটক করার চেষ্টা করলে সে গুলি চালায়।
এসময় আত্মরক্ষার্থে র্যাব পাল্টা গুলি চালালে এখলাস গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে পুঠিয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ওয়ানশুটারগান, ৪৮০ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে।
তবে তার মামা জিন্নাত আলী দাবি করেছেন, তার ভাগ্নে এখলাসকে র্যাব গত ৪ জুলাই ঢাকার ফতুল্লা থেকে আটক করে। সে মাদক ব্যবসায়ী ছিলো না। রিকশা চালতো। তবে শালিকাকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার মামলা ছিলো।
স/আর