পুঠিয়া প্রতিনিধি:
পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়কের কাছে বিভিন্ন অনিয়মের লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উপজেলার সিনিয়র নেতারা। অভিযোগে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে গত ৮ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আহবায়ক কমিটিতে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত, মাদক ব্যবসায়ী, নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখার অভিযোগ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদের সাথে দেখা করে এ অভিযোগ দেওয়া হয়। এসময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মা, যুগ্ম আহবায়ক আবু হায়াত, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একরামুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতা আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মা বলেন, আমার ভালুকগাছি ইউনিয়নের আহবায়ক কমিটিতে আমাকে সদস্য পদেও রাখা হয়নি। অথচও আমি বিএনপি থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম। এর আগে আমার বড় ভাইও বিএনপি থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিল। আমাদের বাদ দিয়ে কমিটিতে মাদক ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু হায়াত বলেন, নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ব্যক্তিকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে আওয়ামীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
আহবায়ক কমিটির সদস্য একরামুল হক সরকার বলেন, ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটিগুলো করা হয়েছে আত্মীয় নির্ভর। কোনো মিটিংয়ে সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন না। এগুলো আসলে পকেট কমিটি।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বাক্কার সিদ্দিক জানান, বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে যারা দলের সাথে জড়িত তাদের নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটি করা হয়েছে। তবে সদস্য সচিব এন্তাজুল হক বাবু জানান, তিনি ব্যস্ত আছেন। এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন।
রাজশাহী -৫ ( পুঠিয়া – দুর্গাপুর) এর সাবেক এমপি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাদিম মোস্তফা জানান, উপজেলা আহবায়ক কমিটির আহবায়ক ঢাকায় থাকেন। এলাকা ও এলাকার নেতাকর্মী সম্পর্কে তার কোনো ধারনা নাই। তাই অভিযোগে উল্লেখিতদের বিভিন্ন ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটিতে রাখা হয়েছে।
রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু সাইদ চাঁদ জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযোগ পেয়েছি। আমি একটু অসুস্থ। যারা অভিযোগ দিয়েছেন তারা পুঠিয়া উপজেলার সিনিয়র নেতা। আমি তাদের অভিযোগ দেখে ব্যবস্থা নিব।
জি/আর