মঙ্গলবার , ৫ জুলাই ২০১৬ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পুঠিয়ার ঈদে আনন্দে বাড়তি আকর্ষণ রথযাত্রা মেলা

Paris
জুলাই ৫, ২০১৬ ১০:৪১ অপরাহ্ণ

মইদুল ইসলাম মধু:

প্রতিবারের ন্যায় এবারো রাজবাড়ি সংলগ্ন মাঠে ঈদের এক দিন আগেই শুরু হচ্ছে ঐতিহাসিক পুঠিয়ার ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা মেলা । তাই এবারের ঈদে পর্যটকদের জন্য বাড়তি বিনোদনের স্পট হিসেবে ব্যবহার হতে পারে এই ঐতিহ্যবাহী মেলাটি।
বেশ কয়েকটি সুত্রে জানা গেছে, পুঠিয়াতে পাঁচআনি এবং চারআনি দুই ভাগে পৃথক রথ হত। তবে এরাই পুঠিয়াতে রথযাত্রার প্রবর্তক নয়। রাজবংশ বিভক্ত হওয়ার আগেও পুঠিয়াতে রথযাত্রা উৎসব হত। যা এখনও দৃশ্যমান।

 
পুঠিয়ার কান্দ্রা কৃষ্ণপুরের সীমানা দিয়ে যে পথ পশ্চিমদিকে  তারাপুর অঞ্চলে গিয়েছে তা “রথগলি” বলে অভিহিত করা হত। তারাপুরে বৃহৎ দিঘিটির মধ্যে মন্দির ছিল যেখানে ঠাকুর সেখানে যেতেন তার ভগ্নাবশেষ এখনো বিদ্যামান রয়েছে। যা রথবাগিচা তারাপুর নামে খ্যাত ছিল।

 
পুঠিয়া রাজবংশ বিভিন্ন শরিকে বিভক্ত হবার পর সকল শরিকেরই আলাদা রথ ছিল। বিশেষ করে পাঁচআনি ও চারআনি উভয় ভাগেই বৃহৎকার সবুজ বর্ণ মিশ্রিত কাঠের মনোমোহিনীর (পরেশনারায়েণের স্ত্রী) আমলে পিতলের রথ প্রবর্তিত হয়। পাঁচআনি তরফে মহারাণী হেমন্ত কুমারী দেবী বিশ হাজার টাকা মূল্যের চারআনির বড় আকারের পিতলের রথ তৈরী করেন।

 
উভয় তরফেই রথের উৎসবে বড় আয়োজন করত। রথ উৎসবে যাত্রা, পালা, ভাসান, যাত্রা, সার্কাস, খ্যামটা গান, আলকাপগান, কবি গান প্রভৃতিতে জাঁকজমকপূর্ণ মেলা বসতো। কলিকাতা থেকে নামকরা যাত্রাপালা দল ও নর্তকী আনা হতো এবং ভালো মিষ্টি তৈরীর কারিগর ও আনা হতো।

 
পাঁচআনি ও চারআনি রাজাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো কে বেশী খরচ করতে পারে। তখন রথ উৎসব ছিল একমাত্র বড় উৎসব । হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের লোকজনের সমাগম হতো এই উৎসবে।

 
পুঠিয়ার রাজবাড়ি দেখতে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক পর্যটক এসে জমায়েত হন। এবারে পুঠিয়া রাজবাড়ি সংলগ্ন মাঠে ঐতিহ্যবাহী এ মেলার আয়োজনে পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনের স্পট হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

মেলা উৎযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মনিরুর ইসলাম তাজুল সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, মেলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। আগামি বুধবার মেলার উদ্বোধন করা হবে। মেলা চলবে ৯ দিন । তবে মেলায় দুরদুরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে শুধু ফার্নিচারের দোকানগুলো ২২ দিন চালু রাখা হবে।

স/শ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর