মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য কথা বলে। সবচেয়ে সহজ মূল্যবোধগুলোকে বিভ্রান্ত করে বিপথগামী করার চেষ্টা করে। তাই আমি বলতে চাই সেমিনার করে কিছু হবে না, রাস্তার লড়াই করতে হবে। মানুষ এই সরকারের উপর এতো বিক্ষুব্ধ যে, তিন মাস পর পর একটি কর্মসূচি দিলেও তারা ঝাঁপিয়ে পড়ছে। বিশাল বিশাল মিছিল হচ্ছে। তার মানে পরিবর্তনের জন্য জনগণ উন্মুখ।রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সাইবার নিরাপত্তা আইন: বাক স্বাধীনতা হরণের নয়া হাতিয়ার শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ সভার আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, আমরা একটি সত্যিকার গণতন্ত্র বিশ্বাস করি। গণতন্ত্র মানে মুদ্রণ, প্রকাশন, সংগঠন, মত প্রকাশ সব কিছুর স্বাধীনতা চাই। এই স্বাধীনতার মধ্যে কেউ আঘাত করতে পারবে না। এই স্বাধীনতার মধ্যে কেউ বাধা দিতে পারবে না। এই স্বাধীনতাকে কেউ নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করতে পারবে না। যেমন এই সরকার ব্যাখ্যা করে, গণতন্ত্র মানে যেকোনো রকমের গণতন্ত্র না, তারা উন্নয়নের গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তাদের উন্নয়ন মানে শুধু উপরে উঠে যাওয়া, শুধু উড়াল সড়ক। কত রকমের ফ্লাইওভার কত রকমের প্রোজেক্ট, তবুও যানজট যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, মানুষকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে একটি সঠিক কর্মসূচির ভিত্তিতে আন্দোলন করে এই সরকারের পতন ঘটানো যাবে। কিন্তু যদি পুতু পুতু করেন, এত হিসাব করে আন্দোলন করা যাবে না।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সাইবার সিকিউরিটি আইন কার নিরাপত্তার জন্য প্রশ্ন করে গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা আরও বলেন, এই আইন আমাদের জন্য নয়। এসব আইন করা হয়েছে সরকারের জন্য। এই সরকার যাতে ক্ষমতায় না থাকতে সেজন্য আমি কাজ করছি।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।