সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: চার দিন পার হয়ে গেলেও শরীয়তপুরের সাধুরবাজার লঞ্চঘাট এলাকা নদীতে বিলীন হওয়ার সময় নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনেকেরই কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসনও শনিবার থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। উপজেলা প্রসাশন থেকে প্রথমে আট জন নিখোঁজ থাকার কথা বলা হয়েছিল। সর্বশেষ শনিবার পর্যন্ত ১০ জন নিখোঁজ বলে জানানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ২৫/৩০ জন মানুষ ও ৬টি দোকানঘরসহ শরীয়তপুরের সাধুরবাজার লঞ্চঘাট এলাকা হঠাৎ করেই নদী ভাঙনের কারণে ধসে পড়ে পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও বাকিদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ নাছির বয়াতীর মা নাজমা বেগম বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে নদীর পাড়ে এসে বসে থাকি, সন্ধ্যায় যাই। আমার ছেলেটা এইভাবে হারিয়ে যাবে বুঝতে পারি নাই। লাশটা পেলেও বাড়িতে নিয়ে দাফন করতে পারতাম।’
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘দুর্ঘটনার চার দিন পর উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তীব্র স্রোতের কারণে ঘটনাস্থলে ডুবুরিরা নামতে পারছে না। আর স্রোতের টানে ঘটনাস্থলে কিছু থাকার সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে।’
জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, ‘আশপাশের জেলাগুলোকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের নৌ সীমানায় কোনও লাশ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে বলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও খবর পাওয়া যায়নি।’