সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দেশের পোল্ট্রি খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য উৎপাদন খরচ ছাড়াও অন্যান্য ফ্যাক্টর থাকে।
পোল্ট্রি খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিম ও মাংস উৎপাদনকারীদের বিদ্যমান সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উৎপাদক থেকে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত দামের বিরাট ব্যবধান থাকবে না। ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে আমরা বলেছি সেগুলো দেখব।
উৎপাদক পর্যায়ে ১৮৫ টাকার সোনালি মুরগি ঢাকায় ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এমন বিষয়ে উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এখন থেকে নিয়মিত পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেবে। ভোক্তা অধিকার ও প্রতিযোগিতা কমিশন বাজার মনিটর করবে। উৎপাদনকারীরা বলেছেন, তারা উৎপাদন বাড়াবেন।
জ্বালানি তেলের দাম ইতিমধ্যে কমেছে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের বলেছি পরিবহন ব্যয় কমবে-অন্যান্য ব্যয়ও কমবে সেটা আপনাদের উৎপাদিত পণ্যে রিফ্লেক্ট করেন। বাংলাদেশে পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমে না সেটা চলবে না।’
ডিম ও পোল্ট্রি খাতের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে কী করেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মানুষ চেষ্টা করবে একটু বেশি দামে বিক্রি করতে। অনেকেই ইল মাছের মতো পিছলে যেতে চেষ্টা করবে।
এ সময় বাণিজ্যসচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রেয়াজুল হকসহ দেশের পোল্ট্রি খাতের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: কালের কণ্ঠ