রবিবার , ৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘নির্বাচনে মাঠ অফিসে হামলার শঙ্কা, নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি ইসির’

Paris
অক্টোবর ৮, ২০২৩ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নির্বাচনে হামলার ঝুঁকি নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘মাঠ অফিসে হামলার শঙ্কা, নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি ইসি কর্মকর্তাদের’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কয়েকজন কর্মকর্তা আশঙ্কা করছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে ইসির মাঠ কার্যালয়ে হামলা হতে পারে।

ওই কর্মকর্তারা ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের উদাহরণ টেনে বলেছেন, ওই সময়ে ১৪০টি কার্যালয়ে হামলা হয়। বগুড়ায় নির্বাচন কার্যালয়ে পেট্রোল বোমা মারা হয়। এবারও ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করে তারা মাঠ কার্যালয়গুলোর নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।

নির্বাচন কর্মকর্তা ও তাদের কার্যালয়ের নিরাপত্তায় আনসার সদস্য মোতায়েনেরও কথা বলা হচ্ছে। যদিও আনসার মোতায়েনের প্রস্তাব নাকচ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সুপারকে চিঠি দিতে আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, ‘শর্তহীন মুক্তি দিলে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ আছে’। প্রতিবেদনে কয়েকজন আইনজীবীর বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আইনি পথ বন্ধ হয়ে যায়নি।

তাদের মতে, সরকার চাইলে মানবিক কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় শর্তহীন মুক্তি দিয়ে তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর অনুমতি দিতে পারে।

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে না দেখে মানবিকভাবে দেখলে আইনের বিধানে কোনো বাধা হবে না বলে আইন বিশেষজ্ঞরা করেন।

অন্য দিকে অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আইনি পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে বলে সম্প্রতি আইনমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আইনের সঠিক ব্যাখা নয় বলে দাবি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

তিনি বলেন, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা একজন গুরুতর অসুস্থ রোগীর চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করা অমানবিক। তিনি বলেন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসার বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে জয়কে ঘিরে কালের কণ্ঠের শিরোনাম, ‘জয়ে রাঙিয়ে শুরু বিশ্বকাপ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় দাপট দেখিয়ে ছয় উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের বোলিং পারফর্মেন্সের কারণে ৩৭ দশমিক ২ ওভারে ১৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। বিপরীতে বাংলাদেশকে জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি।

মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৩৪.৪ ওভারে আফগানদের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য ভেদ করে লাল সবুজ জার্সিধারীরা।

শনিবার বেলা ১১টায় ভারতের ধর্মশালায় বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ম্যাচটিতে টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান সাকিব আল হাসান।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘর্ষ নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Israel ‘at war’ after Hamas offensive’ অর্থাৎ ‘হামাসের আক্রমণের পর ইসরাইলে ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী দল হামাস কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় হামলার মাধ্যমে ইসরাইলকে হতভম্ব করে দিয়েছে।

ইসরায়েলি গ্রামে বন্দুকধারীদের আকস্মিক হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছেন।

দক্ষিণ ইসরায়েল এবং গাজা দুই জায়গার হাসপাতালই হতাহতদের ভিড়ে ছেয়ে গিয়েছে।

ইরান-সমর্থিত হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিমান হামলা শুরু করার পর সেখানকার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন “আমরা যুদ্ধের মধ্যে আছি”।

এই হামলার জন্য “শত্রুদের চরম মূল্য দিতে হবে” বলেও তিনি হুশিয়ারি করেন।

১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রায় ৫০ বছর পর হামাস প্রথমবারের মতো বিমান, সমুদ্র এবং স্থলভাগে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে আক্রমণ শুরু করে।

শুরুতে তারা রাজধানী তেল আবিব এবং জেরুজালেম পর্যন্ত অঞ্চলজুড়ে কয়েক হাজার রকেট হামলা চালায় হামাস। এরমধ্যে কিছু রকেট ইসরায়েল আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে ভবনগুলোতে আঘাত করে।

ব্যাংকিং খাত নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘দুর্বল ব্যাংকের আরও অবনতি’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে কত এক বছরে বিশেষ তদারকিতে থাকা বেশিরভাগ ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমন চিত্র পাওয়া গিয়েছে। ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতির অবনতি হলে বা অবনতির আশঙ্কা থাকলে সেখানে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। অন্যদিকে দুর্বল ব্যাংকগুলোতে সমন্বয়ক নিয়োগ দেয়া হয়।

চলতি বছরের জুলাইয়ে এই নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু পর্যবেক্ষক ও সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তার এসব ব্যাংকের সার্বক্ষণিক তদারকিতে থাকেন। তারপরেও ব্যাংকের অবনতির বিষয়টি সামনে এসেছে।

দেশের এক চতুর্থাংশ বা ১৫টি ব্যাংক এমন বিশেষ তদারকির আওতায় রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ইঙ্গিত ছাড়া ব্যাংক সঠিক পথে ফিরবে না। কারণ এসব ব্যাংকের মালিকানা সঙ্গে জড়িত ও বড় গ্রাহকদের অনেকেই প্রভাবশালী ও সরকার ঘনিষ্ঠ। তাদের অনেকে সরকারের পদে রয়েছেন।

ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে বণিক বার্তার প্রথম পাতার খবর, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের আর্থিক ভঙ্গুরতা বেড়েছে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর মূলধন কাঠামো বা সামগ্রিক আর্থিক পরিস্থিতি আরো ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।

দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর আর্থিক ভঙ্গুরতার এ চিত্র এমন সময়ে সামনে এল, যখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করছে।

আইএমএফ থেকে প্রতিশ্রুত ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ পেতে হলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ কমানোসহ আর্থিক সূচকগুলোর উন্নয়নের শর্তও রয়েছে।

চলতি বছরের জুন শেষে এ ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের ২৫ শতাংশই খেলাপির খাতায় উঠেছে। গত ডিসেম্বর শেষেও এ ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার ২০ শতাশের নিচে ছিল।

ঋণপত্র পরিস্থিতি নিয়ে মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর, ‘সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন এলসি নিষ্পত্তি সেপ্টেম্বরে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ব্যাংকগুলো আমদানি-রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় ডলার দিতে না পারায় এবং অপ্রয়োজনীয় আমদানির ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধের কারণে এখন ব্যবসায়ীরা লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) বা ঋণপত্র খুলতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

দিনকে দিন এই সংকট তীব্রতর হচ্ছে। বিভিন্ন পণ্যের আমদানিতে এলসি খোলা কমছেই। ফলে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সেপ্টেম্বরে সর্বনিম্ন এলসি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পেমেন্টের চাপ কমাতে গত এক বছর ধরে ব্যাংকগুলো এলসি খোলা কমিয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশের অর্থনীতিতে ভবিষ্যতে কী ঘটতে পারে তার একটা আভাস আমদানি এলসি খোলার পরিমাণ দেখলেই পাওয়া যাবে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের খবরও আলোচনায় আছে। এ প্রসঙ্গে সংবাদের প্রথম পাতার খবর, ‘শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে যেসব সুবিধা থাকছে’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শনিবার সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের একটি অংশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর মধ্য দিয়ে ঢাকার আকাশপথে সম্ভাবনার নবদিগন্ত উন্মোচিত হল বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করা হলেও যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক অনেক কাজ বাকি, যা শেষ করতে আরও এক বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বেবিচক।

তৃতীয় টার্মিনালটি তিন তলা বিশিষ্ট। তার প্রথম তলায় ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিং সিস্টেম, ভিভিআইপি, ভিআইপি ইত্যাদি। দ্বিতীয় তলায় বহির্গমন লাউঞ্জ, ক্যান্টিন, বোর্ডিং ব্রিজ। তৃতীয় তলায় বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ইমিগ্রেশন, বিদেশগামী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন, চেক ইন কাউন্টার, সিকিউরিটি সিস্টেম ইত্যাদি থাকবে।

বর্তমানের দুটি টার্মিনালের সঙ্গে তৃতীয় টার্মিনালের কোনো সংযোগ থাকবে না। তবে পরবর্তী সময়ে প্রকল্পে করিডোর নির্মাণ করা হবে।

গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি নিয়ে নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, ‘Low pressure keeps dumping record rain’ অর্থাৎ ‘নিম্নচাপের কারণে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শনিবার পর্যন্ত টানা এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত নিম্নচাপের কারণে যে প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে, তার প্রভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে।

শুক্রবার রাত ১০টা থেকে অবিরাম বর্ষণে শনিবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট নগরীর প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অক্টোবরে সিলেটে এটাই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে শনিবার পর্যন্ত নয় দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আজ থেকে দুর্বল হয়ে যাবে।

সর্বশেষ - মিডিয়ার সংবাদ