নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী নগরীর বর্ণালী মোড়ের বিদ্যাভাস কোচিং সেন্টারের পরিচালকের বিরুদ্ধ ছাত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ওই ছাত্রীর বাবা সোমবার নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের পর পুলিশ ওই কোচিং সেন্টারের মালিকত রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। যদিও পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নগরীর দড়িখরবোনা এলাকার আবুশাহাদতের (মিলন) মেয়ে সাবিহা মালিয়াত রুহি বর্ণালী মোড়ের বিদ্যাভাস কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা করে। প্রতিদিনের ন্যায় রুহি গত রোববার বিকেল ৩টায় কোচিং করতে যায়। ক্লাশ চলাকালীন সময় বিকেল ৪টার দিকে কোচিং সেন্টারের পরিচালক রফিকুল ইসলাম ক্লাশ রুমে আসেন। এসময় রুহিকে ইংরেজী টেন্স থেকে একটি প্রশ্ন করেন।
এসময় রুহি তাকে ভুল উত্তর দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিচালক রফিকুল ইসলাম রুহিকে ঘাড় ধরে ধাক্কা দিয়ে ব্রেঞ্চ থেকে ফেলে দেয়। পরে তাকে রুম থেকে বের করে অন্য রুমে নিয়ে প্রায় ১০ মিনিট ধরে মারধর করে। এতে ভয়ে রুহি প্যান্টে প্রসাব-পায়খান করে দেয়। মারধরের পর বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য পরিচালক রফিকুল ইসলাম রুহিকে পুনরায় ভয়-ভীতি দেখিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন। রুহিকে পরিচালক জানায়, যদি মারধরের বিষয়টি কাউকে সে বলে তাহলে পুনরায় মারধর করা হবে। বিষয়টি রুহি তার পরিবারের কাছে ভয়ে না বললেও সহপাঠিরা রুহির বাবা মিলনকে বিষয়টি জানায়।
এতে মেয়েকে মারধরের প্রতিকার চেয়ে মিলন বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর থানা পুলিশ রফিকুল ইসলাকে গ্রেপ্তার করে। যদিও পরে অভিযোগকারীকে ডেকে পুলিশ বিষয়টি মিমাংসা করেছে বলে জানা গেছে। ওই কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীরা জানায়, এই কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থী নির্যাতন ও মারধরের ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে। পরিচালক ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মারধর ও নির্যাতনের এমন অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে বিদ্যাভাস কোচিং সেন্টারের পরিচালক রফিকুল ইসলামের ব্যবহৃত নম্বরে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেন তার ছোট ভাই রুবায়েদ। তিনি বড় ভাই বাইরে আছে বলে জানান।