সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর বনানীতে আবারও জন্মদিনের পার্টির দাওয়াত দিয়ে এক তরুণীকে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর তাঁকে সেখান থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে (৪ জুলাই) ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী গতকাল বুধবার বনানী থানায় মামলা করেছেন।
সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া ওই অভিযোগকারীর দায়েরকৃত এজাহার থেকে জানা যায়, ফেসবুকে গত ১১ মাস ধরে ধর্ষক বাহাউদ্দিন ইভানের সাথে তরুণীর পরিচয়। ছেলেটির সাথে তার আগেও দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছিল।
জন্মদিনের দাওয়াতে তিনি ছেলেটির বাসায় গিয়েছিলেন। এর আগে এই ধর্ষক ইভান, মেয়েটির সাথে টেলিফোনে অন্য এক নারীর সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দেন নিজের মা পরিচয় দিয়ে। যাতে করে এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে তরুণীটির এমন আস্থার একটা অবস্থান তৈরি হয় যে, ব্যাপারটা মুরুব্বি পর্যায়ে তাঁর প্রেমিক জানিয়েছে এবং সে এই সম্পর্কের ব্যাপারে সিরিয়াস।
এমন একটা আস্থার অবস্থান থেকে উল্লেখিত তরুণী তাঁর বোনকেও ইভানের সাথে এই সম্পর্কের কথাটি জানায়। মোট কথা একটি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এবং একটি আস্থার যায়গা তৈরি হয়েছিল।
ইভান তার জন্মদিনের কথা বলে তরুণীকে তার বাসায় আমন্ত্রণ জানায় এবং সেখানে আরো অতিথি, পরিবারের লোকজন থাকবে সেটিও নিশ্চিত করে। কিন্তু আমন্ত্রিত হয়ে ইভানের বনানীর বাসাতে গেলে সেখানে জন্মদিনের কোনো চিহ্নই দেখা যায়নি, অতিথি, পরিবারের লোকজন এসব দূরের কথা। এইসব প্রশ্ন করতেই ইভান নানাভাবে ব্যাপারটিকে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে এবং একটা পর্যায়ে বলে যে তার মায়ের শরীর খারাপ, তাই ঘুমিয়ে গেছেন।
এ রকম একটা পরিবেশ আর কিছুটা সন্দেহ হবার ফলে তরুণীটি সেখান থেকে চলে আসতে চান এবং ঠিক সে সময়ই ইভান মেয়েটিকে নানা কথা বলে সেখানে থাকবার জন্য কনভিন্স করতে থাকে। একটা পর্যায়ে ধর্ষক ইভান তরুণীকে রাতের খাবার খাওয়ায় এবং জোর করে নেশাজাতীয় বস্তু খাওয়ায়। একটা পর্যায়ে মেয়েটি জোর করে সেখান থেকে চলে আসতে চাইলে ইভান মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
একপর্যায়ে ধর্ষক ইভান মেয়েটিকে বাসা থেকে বের করে দেয় এবং তরুণীটির ব্যাগ ও ব্যাগের ভেতর থাকা সব কিছু রেখে দেয়। উল্লেখ্য, মেয়েটিকে বিয়ের কথা বলে, এর আগেও এই ধর্ষক তার সাথে সম্পর্ক শারীরিক স্থাপন করে এবং সে ঘটনার ছবি ও ভিডিও করে রাখে।
এ দিন রাতে ধর্ষণের পর ছেলেটি হুমকি দিতে থাকে যে তার কাছে মেয়েটির আজকের এবং আগের ঘটনার ভিডিও আছে, বেশি ঝামেলা করলে সেটি সে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবে।
এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মতিন কালের কণ্ঠকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা মামলাটি নিয়েছি। অভিযুক্তকে আটকের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভিকটিম বর্তমানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান করছেন।