মঙ্গলবার , ১ অক্টোবর ২০২৪ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

দোয়েলের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন নির্মাতা রাশেদ

Paris
অক্টোবর ১, ২০২৪ ৯:১৫ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে গিয়ে নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরীর সিনেমায় কাজ করে পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন অভিনেত্রী দিলরুবা দোয়েল। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু পরিচালিত ‘আলফা’ সিনেমায় অভিনয় করে শুরু করেন এই অভিনেত্রী। এরপর এন রাশেদ চৌধুরীর ‘চন্দ্রাবতী কথা’, নুরুল আলম আতিকের ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’, বন্ধন বিশ্বাসের ‘লাল শাড়ি’, আহমেদ হুমায়ুনের ‘পটু’সহ আরো কয়েকটি চলচ্চিত্রে দর্শক দেখেছেন তার অভিনয়ের ঝলক। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক, ওয়েব সিরিজ ও মডেলিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই তারকা।

এদিকে ‘চন্দ্রাবতী কথা’ সিনেমার নির্মাতা পরিচালক এন রাশেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে পারিশ্রমিক বকেয়ার অভিযোগ আনেন তিনি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে অনুদান পাওয়া সিনেমাটি ২০২১ সালে মুক্তি পায়। দোয়েলের দাবি, ওই সিনেমার পারিশ্রমিক এখনো বুঝে পাননি দোয়েল।

তিনি বলেন, “সরকারি অনুদানের ‘চন্দ্রাবতী কথা’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম।

পরবর্তী সময়ে সিনেমাটির সহপ্রযোজনায় যুক্ত হয়েছিল বেঙ্গল ক্রিয়েশনস। এটার ডিজিটাল রাইট কিনেছে চ্যানেল আই। সিনেমাটি মুক্তি দিতে সময় লেগেছে প্রায় পাঁচ বছর। মুক্তির তিন বছর হয়ে গেলেও এ সিনেমার কলাকুশলী, আর্টের লোক, কস্টিউমের লোক, প্রডাকশনের লোক টাকা পায় না কেন? পরিচালকের তো সমস্যা হয়নি।
এ বছর তিনি আরো একটি সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছেন।”

এদিকে অভিনেত্রী দোয়েলের পর সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নির্মাতা রাশেদ চৌধুরী বলেন, “আমি আজ প্রায় ৩৫ বছর ধরে স্বাধীন সিনেমা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। আজ ৬ বছর হলো ‘চন্দ্রাবতী কথা’ সিনেমা শেষ করেছি। সবাই জানেন যে বেঙ্গল এ ছবির সম্পূর্ণ প্রযোজনা স্বত্ব নিয়ে নিয়েছে। এখানে পুরো সিনেমার ব্যয় প্রায় ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকার মধ্যে আমার অনুদানের অর্থ ৩৫ লাখ টাকা আর আমার ব্যক্তিগত ও ধার করা উৎস থেকে আরো ২০ লাখ টাকা জোগাড় করেছি, বাকিটা বেঙ্গলের।

আর এর বিনিময়ে ওরা সিনেমার সম্পূর্ণ স্বত্ব নিয়ে নিয়েছে—এটাও সবাই জানেন। আর চ্যানেল আইকেও ওটিটি স্বত্ব ওরাই দিয়েছে। অথচ আজ পর্যন্ত কোনো ক্রু বা কাস্ট আমাকে ফোনে বা মেসেজে জানাননি যে এখনো ছবির কাজে তাদের বকেয়া পাওনা আছে।”
পাশাপাশি সিনেমাটির সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের একটি এক্সেল ফাইল যোগ করেছেন নির্মাতা। যেখানে ক্রু ও কাস্ট পেমেন্ট বাবাদ ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা বকেয়া দেখাচ্ছে, যার কিছু এর মধ্যেই পরিশোধ করা হয়েছে।

রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘বেঙ্গলের প্রতিটি সিনেমা প্রকল্পের জন্য একজন করে ইপি নিযুক্ত ছিলেন এবং সব সিনেমার পেমেন্ট হিসাব-নিকাশ তারাই পেমেন্ট করেছেন। এখানে আমার করণীয় আসলে কী ছিল? আর আমার যেসব ক্রু-কাস্ট আমার পরিচিত ছিলেন, তারা হয়তো কেউ কেউ দেরি করে পেমেন্ট নিয়েছেন। আর আমি এমন কোনো ব্যস্ত পরিচালক নই যে আমাকে পেমেন্টসের জন্য ফোন করা বা মেসেজে যোগাযোগ করা যেত না। কিন্তু কেউ মেসেজ করে উত্তর পাননি, এমন তো হওয়ার কথা নয়! আর আমাকে না পেলেও বেঙ্গলের তো অফিস ছিল, মনে করতে পারি, সেখানে দোয়েল নিজে গিয়েও পেমেন্ট নিয়ে এসেছেন একবার। এখানে তো যে কেউ আসতে পারতেন। আর সিনেমা রিলিজের পর আমি যেখানে ইন্টারভিউ বা শোতে গিয়েছি, সেখানে প্রায় সবগুলোতে দোয়েল নিজেও গিয়েছেন, তখনও তো তিনি বা কেউ বকেয়া পাননি বলে জানাননি। আর আমি এত শক্তিশালীও কেউ নই যে কাউকে ধমকে বা শক্তি প্রদর্শন করে কারো মুখ বন্ধ করে রাখব। তবু আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, কাগজপত্রের বিপরীতে কারো যদি আমার সিনেমার কাজে কোনো টাকা বকেয়া থেকে থাকে তাহলে আমি নিজে চেষ্টা করব সেটা পরিশোধ করতে। আর যারা আমাকে চেনেন তারাও অন্তত জানেন, যেকোনো সিনেমার কাজ আমি সর্বোচ্চ সৎ থাকার চেষ্টা করি। তবে অজান্তে কোনো ভুল হয়ে থাকলে আন্তরিকভাবে সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - বিনোদন