সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণকে তার অন্যতম শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, সরকার সবসময় গ্রামীণ উন্নয়নে জোর দেয়।
তিনি বলেন, তিনি গ্রামীণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং খাদ্য উৎপাদন ব্যতিরেকে এক ইঞ্চি আবাদি জমি ফেলে না রাখার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করছেন।
‘আমি সবাইকে অনুরোধ করেছি যেন খাদ্য উৎপাদনে নিয়োজিত হন, যে যা পারেন,’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে।
ভারত সবসময় বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ- উল্লেখ করে শেখ হাসিনা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন, ১৯৭১ সালে ভারত বাংলাদেশকে অনেক সাহায্য করেছিল এবং প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তিনি ও তার বোন শেখ রেহানা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মনি পাণ্ডে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
বিমসটেকের সঙ্গে বাংলাদেশের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিমসটেক বাংলাদেশের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে।
তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গ্র্যাজুয়েশনে প্রধানমন্ত্রীর দিকদর্শনের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সপ্তম শীর্ষ সম্মেলনে বিমসটেক নেতাদের উদ্বোধনের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ প্রস্তাবিত বিমসটেক সচিবালয় ভবনের নির্মাণ কাজ তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন বিমসটেক সহযোগিতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত এবং বাংলাদেশ এ খাতে নেতৃত্ব দেওয়া দেশ।
তিনি বলেন এবং আশা প্রকাশ করেন, পরবর্তী বিমসটেক সম্মেলনের পর বাংলাদেশ যখন সভাপতিত্ব করবে, তখন বিমসটেকের কার্যক্রম আরও জোরদার করবে।
প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক প্রক্রিয়াকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন।
শেখ হাসিনা পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ বিমসটেক প্রক্রিয়ায় আরও দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত রয়েছে, যেহেতু ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের পর গ্রুপের সভাপতিত্ব বর্তাবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।