অতীত-বর্তমান যেখানেই চোখ বোলাবেন,, একটা বিষয় পরিস্কার দেখতে পাবেন,, সত্য সাময়িক ভাবে সমস্যার সম্মুখীন হলেও,, দিনের শেষে বিজয়ী হয়েছে।
বিএনপি’র মাননীয় চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি’র মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের দেশপ্রেম এবং রাজনৈতিক কৌশল ও সিদ্ধান্ত বর্তমান সময়ের সত্য।
একসাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশর মাটিতে আধিপত্যবাদী আগ্রসন ও তাদের দোসররা বটবৃক্ষের ন্যায় শিকড় গেড়ে ফেলেছিলো। দক্ষিণ এশিয়ায় নেপাল,ভুটানের দিকে তাকিয়ে দেখলে একই চিত্র পরিলক্ষিত হবে।
গণতন্ত্র ও জনগণের সকল মৌলিক অধিকারকে ঠান্ডাঘরে পাঠিয়ে,, কর্তৃত্ববাদী নিষ্ঠুরতম দমন-পীড়নের একনায়কতন্ত্র কায়েম করা হয়েছিলো বাংলাদেশ।
এমতবস্থায় বাংলাদেশের মা,মাটি ও মানুষের দল, মহান স্বাধীনতার ঘোষক আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, সফল রাষ্ট্রনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী চেতনার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত সকল ধর্ম,বর্ণ,জাতির একত্রিতকরণের রাজনৈতিক দল বিএনপি আধিপত্যবাদীদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বাংলাদেশের মানুষের অধিকার সম্মুন্নত রাখতে সবসময়ই সংগ্রাম করেছে।
১/১১’এর ষড়যন্ত্রের পর থেকেই আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আহ্বান জানিয়েছিলেন “দেশ বাঁচাও, দেঁশের মানুষ বাঁচাও” ফ্যাসিষ্ট হাসিনার সরকার প্রতিহিংসার বিচারের ফরমায়েশী রায়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করেন।
বিএনপির হাল ধরেন বিএনপির মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুরু হয় ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারে বিরুদ্ধে সংগ্রামের নতুন সেনালী অধ্যায়। দলের মধ্যে নতুন আশার আলো সঞ্চারিত হয়।
হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও তারেক রহমান দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট, দেশপ্রেমিক সিনিয়র রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব,ও দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছেন যা তাঁর রাজনৈতিক মেধা, প্রজ্ঞা ও দূরিদর্শিতার প্রমাণ বহণ করে। এছাড়া নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ তিনি ফ্যাসিষ্ট হাসিনার বিরুদ্ধে সংগ্রামরত সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলকে একটি প্লাটফরমে নিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন ।
তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রচলিত গতানুগতিক রাজনৈতিক ধারার পরিবর্তন করে সাম্য, মানবিক, সুখী সমৃদ্ধিশীল এবং সকল মত ও পথের সমন্বয়ে আত্মনির্ভরশীল নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের প্রচেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছেন। সেজন্য রাষ্ট্র মেরামত /সংস্কারের প্রথমে ২৭ দফা পরবর্তীতে ৩১ দফা দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন।
অতীতে মানুষ ভাবতো,,,,এবং কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতো তারেক রহমান বিএনপিকে এবং দেশকে কি এমন উপহার দিতে পারে ?? তারেক রহমান কি পারবে জনআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে।
তারেক রহমান কি পারবে ফ্যাসিষ্ট হাসিনার বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে গণতন্ত্র উপহার দিতে ??
তারেক রহমান লড়াই করে গেছেন। অহিংসা আর ভাতৃত্ববোধকে হাতিয়ার করে এগিয়ে গেছেন এবং তাঁর প্রাথমিক সাফল্য এসেছে। গণতন্ত্র হত্যাকারী,ভারতীয় তাবেদার পতিত স্বৈরাচার হাসিনা ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
পতিত স্বৈরাচার খুনী হাসিনার পতন আন্দোলনে বাংলাদেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দল তারেক রহমান এর নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখেছেন এবং তারেক রহমানকেই ফ্যাসিষ্ট কর্তৃত্ববাদী হাসিনার বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রধান নেতা মেনেই যুগপৎ আন্দোলন করেছেন ।
তারেক রহমান উদার গণতান্ত্রিক চেতানাকে গুরুত্ব দিয়ে সামনের দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে নেওয়ার কথা বলছেন যা দল পরিচালনা এবং তাঁর বক্তব্য ও বিবৃতিতে প্রতিয়মান হচ্ছে। সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছেন তারেক রহমান এর দেশনায়কচিত নেতৃত্ব।
তারেক রহমান এর লড়াইয়ের পথ পরিস্কার এবং স্বচ্ছ। তাঁর লড়াই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অক্ষুণ্ণ রাখা। তাঁর লড়াই সাধারণ মানুষের জন্য। লড়াই সমতার উদ্দেশ্যে,, দরিদ্র নিপীড়িত মানুষের জন্য, জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ।
মোঃ শরিফুল ইসলাম জনি
সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক
রাজশাহী মহানগর যুবদল
(সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজশাহী জেলা ছাত্রদল)