দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মাওলানা আতাউর রহমান নিখোঁজের সাড়ে ৪ বছর বছরেও সন্ধান মেলেনি। তিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত সবেদ আলী’র পুত্র।
স্ত্রী’র কাছে স্বামী ও সন্তানের কাছে বাবা
মাওলানা আতাউর রহমান ফিরে আসার পথচেয়ে থাকা দীর্ঘ শিক্ষার অবসান ঘটবে কবে? তিনি কি জীবিত আছেন? না মারা গেছেন? এমন প্রশ্ন এলাকাবাসী ও নিখোঁজ পরিবারের।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন হাফেজ মাওলানা মো. আতাউর রহমান। এরপর তিনি আর বাড়ী ফিরে আসেন নি। তার সন্ধানের জন্য হারানো বিজ্ঞপ্তি, থানায় জিডি, এলাকায় মাইকিং ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে খোঁজার চেষ্টা করেও পাওয়ায় যায়নি।
স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, তিনি ২০২০ সালের ২৪ এপ্রিল দুর্গাপুর থানায় সাধারন ডাইরী করেন। সাধার ডাইরি নম্বরঃ ৯১৪।
নিখোঁজ হাফেজ মাওলানা আতাউর রহমানের ছেলে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা একজন মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম ছিলেন।
তিনি চাঁপাই নবাবগঞ্জের, শিবগঞ্জ, কানসাট, ভোলাহাট, রহনপুর, গোমস্তাপুর, গোবরে দোলা, মল্লিকপুর, কাপাসিয়া পাড়া ও রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার, হাট গোবিন্দপুর, যৈটা বটতলা, যৌবন লাইন পাড়া, আমনুরাসহ চাঁপাইয়ের বিভিন্ন হাফেজিয়া ও কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি জামে মসজিদে ইমামতি এবং বিভিন্ন জায়গায় ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহন করতেন। পিতা নিখোঁজ হওয়ার দুই মাস পূর্বে হার্ট ও প্রেসারের সমস্যায় দুশ্চিন্তার কারণে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যান।
নিখোঁজের চারদিন পরেই আমার মা অসুস্থতার সন্ধান চেয়ে দুর্গাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেও প্রশাসনিকভাবে এখন পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাইনি পুলিশ। এখন আমাদের জানার একটাই আকুতি আমার পিতা কি জীবিত আছেন নাকি মারা গেছেন।
নিখোঁজ পিতার সন্ধান চেয়ে প্রশাসন ও দেশবাসীর কাছে আকুল অনুরোধ জানিয়েছেন সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম।
নিখোঁজ হাফেজ মাওলানা আতাউর রহমানের গায়ের রং-উজ্জ্বল শ্যামলা, মুখমন্ডল-গোলাকার, বয়স : পঞ্চান্ন (৫৫), উচ্চতা-৫ ফুট ২ ইঞ্চি। নিখোঁজের সময় তার পরনে ছিল চকলেট রঙের পাঞ্জাবি ও চেক লুঙ্গি। ওনার মূখের ডান গালের ওপরে আঁচিলের কালো দাগ ও মুখে চাপ দাড়ি আছে। সে রাজশাহীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। কেউ যদি কোন ব্যাক্তি তার সম্পর্কে কোনো তথ্য অথবা অবস্থান জেনে থাকেন তাহলে ০১৮১৭-১০৯০৪০ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দূরুল হোদা’র সাথে যোগাযোগ তিনি বলেন, আমি দুই মাস পূর্বে দুর্গাপুর থানায় যোগদান করেছি, সাংবাদিক মনিরুল ইসলামেরপিতার নিখোঁজ এর বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলাম, বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ রাজশাহী জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে নির্দেশনা পেলে দেশের সকল থানায় নিখোঁজ এর সন্ধান চেয়ে মেসেজ দেওয়া হবে।
স.আর