চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-
পরিষ্কার পানি নিন। এবার সেই পানি ফুটিয়ে আইস ট্রেতে জমতে দিন। আইস জমে গেলে তা ত্বকে ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে এর সঙ্গে অল্প গোলাপ জলও মিশিয়ে নিতে পারেন। এই বরফ ব্যবহার করার আগে ত্বক কিন্তু ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। প্রথমে আপনার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নেবেন। এরপর বরফ ব্যবহার করবেন। এতে এর কার্যকারিতা বাড়বে। নিয়মিত ব্যবহার করলে পার্থক্যটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
প্রতিদিন আমরা নানা কাজে বাইরে বের হই। এতে আমাদের ত্বকে রোদে পোড়া দাগ তৈরি হতে পারে। বরফ ব্যবহার করলে তা এ ধরনের ত্বককে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, রক্ত চলাচলেও সহায়তা করে এটি। সেইসঙ্গে ত্বকের কালো ছোপ দূর করে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
ত্বকের জ্বালাভাব হলে বরফ ব্যবহার করলে আরাম মেলে। ব়্যাশ দেখা দিলে তা নিরাময়েও কাজ করে। মুখে মৃতকোষ জমে অনেক সময় দেখতে কালচে লাগে। তা দূর করতে সাহায্য করে বরফ। এই এক বরফ ব্যবহারে ত্বকের অনেকগুলো উপকারিতা পাওয়া যায়। তাই এটি আপনার রূপচর্চার অংশ করে নিন।
ত্বকের অবাঞ্ছিত ছিদ্র দূর করতে সাহায্য করে বরফ। এটি পোর ক্লিনিং করে। যে কারণে মুখে দাগ জন্মে না। ফলে দূর হয় ত্বকের লালচেভাব। ত্বকের ভেতরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ দূর করতে কাজ করে বরফ। আপনি যদি ত্বকে ক্রিম ব্যবহারের আগে বরফ ঘষে নেন তাহলে বেশি উপকার পাবেন। সপ্তাহে তিনদিন বরফ ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, ত্বক হয় মসৃণ।