তানোর প্রতিনিধি:
তানোর উপজেলা আ’ লীগের বর্ধিত সভায় মঞ্চের চেয়ারে বসা নিয়ে দু’পক্ষের মারামারির ঘটনায় দুই গ্রুপ প্রতিবাদ সভা আহবান করেন।
শনিবার বিকালে উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না গ্রুপ তানোর থানা মোড়ে ও তানোর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানীর গ্রুপের লোকজন ও একই স্থান তানোর থানা মোড়ে প্রতিবাদ সভা াাহবান করেন। কিন্তু পুলিশ দুই গ্রুপের কাউকে কোন সভা সমাবেশ করতে দেননি। বিকাল থেকে তানোর থানার (ওসি) রাকিবুল হাসান সঙ্গীয় র্ফোস নিয়ে তানোর থানা মোড় ও তানোর পৌর সভা চত্বরে অবস্থান করেন।
এদিকে তানোর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী রাজশাহী থেকে তার নিজস্ব গাড়ীতে তানোর থানা মোড়ে আসা মাত্র ময়না গ্রুপের লোকজন বাধা দেন তবে পুলিশ থাকায় কোন অপৃতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি শান্ত করতে ওসি নিজে গোলাম রাব্বানীর গাড়ী রাজশাহী ফিরে যেতে বললে গাড়ী রাজশাহীর দিকে ফেরত যায়।
বিকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি তানোর থানা মোড়ে থেকে তানোর পৌরসভাসহ উপজেলা চত্বরে পুলিশের টহলের কারণে পথচারীসহ গাড়ী গোড়া চলা চল কম ছিল। শুক্রবার বিকালে অডিটরিয়ামের চেয়ার টেবিল ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আ’লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতংকো বিরাজ করছে।
তানোর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী বলেন, শুক্রবার বর্ধিত সভায় এমপি হুকুমে ময়না তার লোকজন দিয়ে আমাদের নেতা কর্মীদের পিটিয়েছে। তার প্রতিবাদে আমরা (শনিবার) বিকালে তানোর থানা মোড়ে প্রতিবাদ সভা আহবান করি। পুলিশ প্রতিবাদ সভা হতে দিলো না। এমনকি ময়নার লোকজনসহ পুলিশ আমার গাড়ী থানা মোড় পার হতে দেয়নি।
তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, রাব্বানী ও মামুন দলের মধ্যে আজ ঝামেলা পাকাচ্ছে। শুক্রবারে শান্তি পূর্ণ বর্ধিত সভাকে তারা অশান্ত করে তুলে। আমাদের নেতা-কর্মীদের মারপিটসহ চেয়ার ভাংচুর করেছে। সে প্রতিবাদে আমরা থানা মোড়ে প্রতিবাদ সভা আহবান করি কিন্তু পুলিশ সভা করার অনুমতি দেয়নি।
প্রসঙ্গ, ১১ ই নভেম্বর তানোর উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার বিকালে ৪ টায় তানোর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ারে বর্ধিত সভার আয়োজন করেন জেলা আ’লী । প্রধান অতিথি করা হয় রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে । প্রধান অতিথি আসার আগেই মঞ্চে চেয়ার বসাকে কেন্দ্র করে তানোর উপজেলা আ’ লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার সমর্থকদের মধ্যে চেয়ার ছুড়াছুড়ি ও মারামারি এবং ভাংচুর শুরু হয়। মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়ে তানোর স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এছাড়াও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও তালন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।
তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, এলাকার শান্তির জন্য দুই পক্ষের কাউকে কোন মিছিল সভা সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি।