শুক্রবার , ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘ঢাকাকে বিরক্ত না করতে দিল্লিকে বার্তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র’

Paris
সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪ ২:২৩ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আজ সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘ঢাকাকে বিরক্ত না করতে দিল্লিকে বার্তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মার্কিন অর্থ দপ্তরের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে মার্কিন একটি শক্তিশালী প্রতিনিধি দল শনিবার ঢাকা আসছে।

এ দলে থাকছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড ল্যু।

তবে ডোনাল্ড ল্যু সরাসরি ওয়াশিংটন থেকে ঢাকা আসছে না। তিনি ঢাকা আসবেন দিল্লি হয়ে। সেখানে ওয়াশিংটন দিল্লি প্রতিরক্ষা বিষয়ক ইন্টারসেশনাল সংলাপে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন তিনি।

এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় ইস্যুর পাশাপাশি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। এতে ঢাকাতে বিরক্ত না করার জন্য ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে দিল্লিকে বার্তা দেওয়া হবে।

এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ঢাকা দিল্লি এবং ওয়াশিংটনের উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায় ঢাকায় ৫ই অগাস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্ব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশের বর্তমান সংকট উত্তরণের চাহিদাগুলো জানতে চাইবে ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে বিষয়গুলোতে সামনের দিকে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হবে।

আগামী ১৪ই সেপ্টেম্বর তাদের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বে অন্তর্ভুক্তির সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এটি হবে ওয়াশিংটন থেকে উচ্চ পর্যায়ের কোনো প্রতিনিধি দলের প্রথম বাংলাদেশ সফর।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে বৃহস্পতিবার আশুলিয়ায় ২১৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল।

এসব কারখানায় শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে শনিবার থেকে উৎপাদন আবার শুরু করা না গেলে বাংলাদেশের পোশাক খাত গভীর সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার এক মাসেরও বেশি সময় পরেও শিল্প পুলিশ পুরোপুরি কাজ শুরু করতে পারেনি, যা নিরাপত্তার উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

সেইসাথে শ্রমিকদের ‘অস্বাভাবিক দাবি’ মালিকদের হতাশ করেছে।

কেননা তারা এরিমধ্যে পশ্চিমা দেশগুলোয় পরবর্তী ছুটির মৌসুমের আগে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের চাপের মধ্যে রয়েছে।

শিল্প সংশ্লিষ্টরা এই অস্থিরতার পিছনে ষড়যন্ত্রকে বড় কারণ হিসেবে দেখছেন অন্যদিকে শ্রমিক নেতারা পরিস্থিতির জন্য পক্ষপাতমূলক রাজনীতির প্রভাব এবং ফ্যাব্রিক স্ক্র্যাপ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে দায়ী করেন।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘নতুন দেশ গড়তে আসুন একসঙ্গে কাজ করি’।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি দল হিসেবে কাজ করতে চাই। আমরা অতীতের পচা বাংলাদেশ থেকে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চাই। আসুন, আমরা একসঙ্গে কাজ করি।’

বৃহস্পতিবার ‘ন্যাশনাল বিজনেস ডায়ালগে’ ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ আহ্বান জানান।

ব্যবসায়ীদের সামাজিক ব্যবসায় বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের নিজ গ্রাম, উপজেলা কিংবা নিজের শিল্পকারখানা যেখানে আছে, সেখানকার মানুষের জন্য বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি, স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারেন। যখন সফল হবেন, তখন বিনিয়োগের টাকা তুলে নেবেন। টাকা বানানো আনন্দের বিষয়, কিন্তু মানুষকে আনন্দে রাখা আরও বেশি আনন্দের।’

অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম দাবি শিল্পাঞ্চলে চলমান ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।

চলমান অস্থিরতায় ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে আইসিসিবির সভাপতি মাহবুবুর রহমানের মূল প্রবন্ধে তুলে ধরা হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক সুন্দর করার ওপর জোর দেন। বলেন, ‘এ বিষয়ে দল হিসেবে কাজ করার জন্য আপনারা মনস্থির করে ফেলেন। আপনারা যদি সাহস দেন, তাহলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সনদে সই করে ফেলব।’

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘বকেয়ায় বাড়ছে লোডশেডিং’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের বড় ঘাটতির কারণে সারা দেশে ব্যাপক লোডশেডিং চলছে। দিনে তিন-চারবার থেকে শুরু করে কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুৎ যাচ্ছে।

ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে এই ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। এতে শিল্প খাতসহ অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতির পেছনের বড় কারণ মোটা বকেয়ার জন্য জ্বালানি সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে না পারা।

বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান উপকরণ হচ্ছে জ্বালানি। খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ব্যবহৃত জ্বালানির শতকরা ৬০ ভাগই আমদানি করতে হয়।

এই জ্বালানির বড় অংশ হলো ডিজেল, পেট্রল, অকটেন ও ফার্নেস অয়েল। বাকিটা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)।

দেশে এখন জ্বালানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে কয়েক দিন ধরেই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন কমেছে।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময় ডলার-সংকটের কারণে বকেয়া পরিশোধ করা যায়নি। এখন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদন সচল রাখতে প্রয়োজনীয় জ্বালানির নিশ্চয়তা এবং বকেয়া অর্থ চাইছে।

কিন্তু সরকারের কাছে ডলারের ঘাটতি থাকায় তা মেটানো যাচ্ছে না।

মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘যেভাবে এগুবে সংস্কার কমিশন’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ছয়টি সেক্টরের জন্য ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করছে সরকার। ছয় জন বিশিষ্ট নাগরিককে একেকটি কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কমিশনের কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।

প্রতিটি কমিশনে বিশেষজ্ঞ সদস্য যুক্ত করা হবে। তারা আলোচনা করে, জনসাধারণের মতামত নিয়ে একটি প্রস্তাব তৈরি করে সরকারের কাছে উপস্থাপন করবেন।

তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে তৈরি হবে সংস্কারের রূপরেখা। যে ছয় কমিশন গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে আগামী তিন মাসের মধ্যেই তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হবে।

এভাবে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুসংহত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এজন্য তারা একটি সুপারিশমালা তৈরি করবেন।

পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের বিষয়ে বলা হয় উন্নত বিশ্বে যেভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠান চলে সেভাবে চলবে। আইন-কানুন পরিবর্তন হবে। পুলিশ প্রশাসনকে জনবান্ধব করে তোলা হবে।

দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন অবশ্য দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কারের ওপরই বেশি জোর দিয়েছে। যেন দুদককে আমলাতন্ত্র থেকে বের করে আনা যায়। সূত্র: বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ - মিডিয়ার সংবাদ