নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডাকাতি মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে মামলায় হাজিরা দিয়ে জামিন আবেদন জানালে শুনানি শেষে রাজশাহীর মূখ্য মহানগর হাকিম আদালত-৩ এর বিচারক জাহিদুল ইসলাম তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ফাইল ফটো
ছাত্রলীগ নেতা এসএম তৌহিদ আল হোসেন তুহিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট উপাচার্যের দপ্তরে অপেক্ষমাণ কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীকে মাধররের ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২১ আগস্ট রাজশাহী নগরের পদ্মা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে ডাকাতি সংগঠিত হয়। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি তুহিন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের আদালত পরিদর্শক আবুল হাশেম জানান, নগরের বোয়ালিয়া থানার ডাকাতি মামলায় আসামি তুহিন। দীর্ঘদিন থেকে তিনি মামলায় হাজিরা দেননি। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছির।
ফাইল ফটো
মঙ্গলবার হাজিরা দিয়ে জামিন আবেদন জানাতে গেলে বিচারক জাহিদুল হক শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালীন সময়ে তুহিন অস্ত্রবাজি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীকে মারপিট করাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে নিজ দলের কর্মীকেও খুনের অভিযোগ রয়েছে।
তবে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে তুহিন ছাত্রশিবিরের ক্যাডারদের কাছেও অন্যতম টার্গেটে পরিণত হন। এরই জের ধরে ২০১৩ সালের ২২ আগস্ট রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাবি’র সৈয়দ আমির আলী ও মাদার বখস হলের সামনে দুর্বৃত্তরা ছাত্রলীগ নেতা তুহিনের ওপর হামলা করে তাঁর ডান হাত ও দুই পায়ের রগ কেটে দেয়।
এছাড়াও শরীরের অসংখ্যা স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে। ওই হামলার সময় গুলিতে আহত হন রাবি ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক শাওন সরকার।
স/আর