শিরোপা ছোঁয়া দূরত্বে ছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। শেষ দিন ঘরের মাঠে মেইনজ ০৫-এর বিপক্ষে জিতলেই চ্যাম্পিয়ন তারা। জার্মান বুন্দেসলিগার শিরোপা উদযাপনের জন্য সিগনাল ইডুনা পার্ক সেজেগুজে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু লিগের শেষ পর্যন্ত স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ডর্টমুন্ডের!
মাইন্সের সঙ্গে ডর্টমুন্ডের ড্র, আর কোলনের বিপক্ষে বায়ার্নের জয়ে টানা ১১তম বারের মতো বুন্ডেসলিগার শিরোপা জিতল বাভারিয়ানরা।
জার্মানির শীর্ষ লিগে শনিবারের ম্যাচে কোলনকে ২-১ গোলে হারায় বায়ার্ন। একই সময়ে হওয়া দিনের অন্য ম্যাচটিতে ডর্টমুন্ড ও মাইন্সের মধ্যে ২-২ গোলে ড্র হয়।
লিগের শেষ ম্যাচে ৮ মিনিটে প্রথম লিড নেয় বায়ার্ন মিউনিখ। অন্যদিকে ১৫ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। প্রথমার্ধে সেবাস্তিয়ান হেলার পেনাল্টি মিস করলে লিগ টেবিলে শীর্ষস্থান নিয়ে ম্যাচ শুরু করা ডর্টমুন্ড ম্যাচে ফেরার সুযোগ হারায়। ওই সুযোগ নিয়ে ২৪ মিনিটে মাইৎস দ্বিতীয় গোল করে। বায়ার্ন ১-০ গোলের লিডে এবং ডর্টমুন্ড ২-০ গোলে পিছিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৯ মিনিটে এক গোল শোধ করে ডর্টমুন্ড। দলটি যখন সমতায় ফেরার চেষ্টায় তখন তাদের ভাঙা স্বপ্ন জোড়া লাগার আশা জাগায় কোলন। ৮১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতায় ফেরে দলটি। মন ভেঙে দেয় বায়ার্নের। ম্যাচে বায়ার্ন সমতা করলে এবং ডর্টমুন্ড হারলেও চ্যাম্পিয়ন হতো ডর্টমুন্ড।
কিন্তু ভাগ্য দেবতা ডর্টমুন্ডের সঙ্গে নিষ্ঠুর-নির্মমতা দেখিয়েছি। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে তরুণ জামাল মুসিয়ালা গোল করে বায়ার্ন মিউনিখকে লিডে ফেরায়। ওই গোলে জয় নিয়ে উৎসবের আমেজে মাঠ ছাড়ে দলটি। অন্যদিকে ডর্টমুন্ড যোগ করা সময়ে গোল করে ২-২ গোলের সমতা করে মাঠ ছাড়ে। কিন্তু তাতে একটা পয়েন্ট পেলেও লাভ হয়নি ডর্টমুন্ডের।
৩৪ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা ধরে রাখল বায়ার্ন। ৭১ পয়েন্ট নিয়ে স্রেফ গোল পার্থক্যে পিছিয়ে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ডর্টমুন্ডকে।