সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে পেরুতে শেষবারের মতো দেখা করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এতে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার দৃঢ়প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন শি।
গোয়েন্দা নজরদারি, সাইবার অপরাধ, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, তাইওয়ান ইস্যু ও রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতা নিয়ে চীনের সঙ্গে মার্কিন বিরোধ জটিল এবং পুরোনো। এরপরও কূটনৈতিক চ্যানেলে অর্থনীতির এই দুই শীর্ষ দেশ যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। এবার বাইডেন-শি বৈঠকে এসব বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ইকোনামিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, পেরুর রাজধানী লিমার যে হোটেলে চীনের প্রেসিডেন্ট অবস্থান করছিলেন, সেখানেই তাদের মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (এপেক) সম্মেলন উপলক্ষে বর্তমানে দুই শীর্ষ নেতা লিমায় অবস্থান করছেন। সম্মেলনের এক ফাঁকে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বলা হচ্ছে, বাইডেন ও শির মধ্যে গত সাত মাসের মধ্যে এটিই প্রথম বৈঠক।
শি বাইডেনকে জানিয়েছেন, সদ্য সমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরেও ‘চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি স্থিতিশীল, স্বাস্থ্যকর ও টেকসই সম্পর্ক রাখার বিষয়ে চীনের লক্ষ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে ‘উত্থান-পতন’ থাকার কথা স্বীকার করেছেন শি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে শি বলেছেন, ‘চীন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে, সহযোগিতা বাড়াতে এবং পার্থক্য সামলে চলার বিষয়ে কাজ করতে প্রস্তুত।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত শি ফেং জানিয়েছেন, বেইজিং চায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখতে।
তিনি বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পরস্পরের প্রতি উদ্বেগ রয়েছে। কিন্তু অকপটে যোগাযোগ করার জন্য, একযোগে সমাধান খোঁজার জন্য সমস্যাগুলিকে টেবিলে আনা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব।
সূত্র: যুগান্তর