কক্সবাজারের টেকনাফে দেখা দেওয়া পোকাগুলো পঙ্গপাল নয় বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম বৃহস্পতিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, টেকনাফের ওই পোকার নমুনা সংগ্রহ করে ভিডিও করে বুধবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী মো. রুহুল আমিন ও দেবাশীষ সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তিনি ফোনে জানিয়েছেন, এটা মরুভূমির যে পঙ্গপাল, সে পঙ্গপাল না। এটা ঘাসফড়িংয়ের একটি প্রজাতি হতে পারে।
তবে কুরিয়ার সার্ভিসের সমস্যার কারণে পোকাটির নমুনা বৃহস্পতিবারও গাজীপুর কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পাঠানো যায়নি বলে জানান তিনি।
জানা যায়, টেকনাফের এক এলাকায় কয়েক দিন আগে ‘পঙ্গপাল’ সদৃশ পোকা হানা দেয়। শত শত পোকা দল বেঁধে একের পর এক গাছের পাতা খেয়ে ফেলে সেখানে।
এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ওই ভিটের মালিক টেকনাফের লম্বারী পাড়ার সোহেল সিকদার।
তিনি বলেন, ১৮ এপ্রিল বিকালে হঠাৎ করে আমার বাগানের কিছু গাছে পোকা দেখতে পাই। পোকাগুলো গাছের পাতা নিমেষেই শেষ করে দিচ্ছে। এ পোকা আগে কোনোদিনও দেখিনি।
২২ এপ্রিল কৃষি কর্মকর্তা এসব পোকা পর্যবেক্ষণ করে ‘রিপকর্ড’ কীটনাশক ব্যবহার করে মেরে ফেলেন বলে জানান তিনি।
টেকনাফের ওই সোহেল সিকদারের বাড়ির আশপাশ খুবই নোংরা উল্লেখ করে তিনি জানান, প্রথমে কীটনাশক ছিটিয়ে পোকাগুলো মেরে ফেললেও অনেক পোকা থেকে যায়। যা পরবর্তীতে আবারও গাছে আক্রমণ করে।
বিষয়টি জেলা কৃষি কর্মকর্তাকে জানালে তিনি সরজমিনে পরিদর্শন করেন এবং কিছু নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান।
বৃহস্পতিবার আবার ওই বাড়িতে গিয়ে কীটনাশক ছিটিয়ে প্রায় ৯৮ শতাংশ পোকা ধ্বংস করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, তবে এটি পঙ্গপাল নয়; পঙ্গপাল তো উড়তে পারে, পাখাও রয়েছে। কিন্তু এ পোকাতে কোনো পাখা নেই এবং উড়তেও পারে না। এটি কালো রঙের পোকা।