ওই পোস্টে দাবি করা হয়েছিল, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত। এটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রঙ এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত। এটি এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। টাঙ্গাইলের প্রতিটি শাড়ি ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সৌন্দর্যের মেলবন্ধনে দক্ষ কারুকার্যের নিদর্শন। ’
জাতিসংঘ শুভেচ্ছাদূত ও ‘ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট’ ধারণার প্রবক্তা বিবি রাসেল একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, এটি এক উদ্ভট ও ভিত্তিহীন দাবি। এটি একেবারে বর্তমান বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদ।
বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের সভাপতি চন্দ্র শেখর সাহা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্বের দাবি কোনোভাবেই ভারত করতে পারে না। কারণ, ভৌগোলিকভাবে টাঙ্গাইল কোনোকালেই পশ্চিমবঙ্গের ছিল না। তারা অন্য নামে তাদের শাড়ির জিআই স্বীকৃতি দিতে পারে, কিন্তু সেটির সঙ্গে টাঙ্গাইল নাম থাকলে কোনোভাবে যৌক্তিক হবে না।
বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুর রহমান একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি নিয়ে ভারত যা করেছে, তা মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই।
টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই নিয়ে রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ভারতে পেটেন্ট রাইট করেছে। তারা এটি কীভাবে করেছে, তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমাদের জানা নেই। তবে আমরা এটি নিয়ে আজ জরুরিভাবে মন্ত্রণালয়ে বসেছি। আমরা বৈঠক করেছি। টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদের থাকার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেয়ার, আমরা খুব দ্রুত সে ব্যবস্থা নিচ্ছি।