সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
টাকা লুট করার উদ্দেশ্যে প্রাক্তন কলেজ শিক্ষক অধ্যাপক আলী হোসেন মালিককে (৬৭) হত্যা করা হয়েছে।
তাকে হত্যা করার পর বাসা থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লুটে নিয়ে তিনজন ভাগ করে নেয় বলে র্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি লুৎফুল কবির সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। মঙ্গলবার র্যাব-৪ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সোমবার বরিশাল জেলার গৌরনদী থানা এলাকা থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. সায়েদ ফকির সাইফুল (বাড়ির মালিকের ছেলে হায়াতউজ্জামানের কর্মচারী) ও সাইফুলের চাচাতো ভাই সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৩২ টাকা এবং তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একই দিন মালিকের ড্রাইভার মো. মাসুদ মল্লিককে ক্যান্টনমেন্ট থানার ইসিবি চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা টাকা আত্মসাৎ করে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে মালিককে খুন করার পরিকল্পনা অনেক দিন আগেই করেছে।’
র্যাব কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘সাইফুল ও সুজন ঘটনার দুদিন আগে কোকাকোলার সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাসার দারোয়ান সহির উদ্দিনকে রাতে খাওয়ায়। কিন্তু সেদিন আলী হোসেন মালিক অফিস ভবনে অবস্থান না করে বাসায় চলে যান। ফলে তাদের পরিকল্পনা সেদিন সফল হয়নি।’
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনার দিন তারা ফের কোকাকোলার সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দারোয়ান ও সেলিম নামের এক কর্মচারীকে খাওয়ায়। এতে দারোয়ান ও সেলিম গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে পড়েন। সাইফুল ও সুজন একপর্যায়ে মালিকের কক্ষের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে স্যার বলে ডাক দেয়। কক্ষের ভেতর থেকে মালিক দরজা খোলার সাথে সাথে সাইফুল ও সুজন ভেতরে প্রবেশ করে। তারা রশি দিয়ে মালিকের হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর সিন্দুক থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ১১ অক্টোবর মালিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সুত্র: রাইজিংবিডি