মঙ্গলবার , ৯ আগস্ট ২০১৬ | ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ সোহেল রানার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র

Paris
আগস্ট ৯, ২০১৬ ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ সোমবার রাতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম।

 

মামলায় ১৭ কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

এর মধ্যে সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ৫০ শতাংশ জমি, সাভার বাজার রোডে একটি আটতলা বাণিজ্যিক এবং একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবন, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে একটি দোতলা ভবন, ‘রানা ব্রিকস’ ও ‘এসএমকে ব্রিকস’ নামের দুটি ইট ভাটা এবং ‘রানা অয়েল মিল’ রয়েছে।

 

এ ছাড়া অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে এক্সিম ব্যাংকের সাভার বাজার শাখায় ৩৫ লাখ টাকার ‘এফডিআর’, ন্যাশনাল ব্যাংক সাভার বাজার শাখার দুটি হিসাব এবং ব্র্যাক ব্যাংক সাভার বাসস্ট্যান্ড শাখার দুটি হিসাবে রাখা টাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসের চারদিন পর সোহেল রানার সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

 

তবে দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সোহেল রানা তাঁর সম্পদের বেশির ভাগই করেছেন তাঁর মা-বাবার নামে। রানা প্লাজা ভবনটিও তাঁর মা-বাবার নামেই করা।

 

এই প্রেক্ষাপটে পরের বছর ১২ এপ্রিল সোহেল রানা, তাঁর বাবা আবদুল খালেক এবং মা মর্জিনা খাতুনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ উপার্জনের অভিযোগে একটি মামলা করে দুদক।

 

মামলার আগে ২ এপ্রিল রানাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দিয়েছিল দুদক। বিধি অনুযায়ী নোটিশ পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানেননি রানা।

 

নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় ২০১৫ সালের ২০ মে দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম রাজধানীর রমনা থানায় একটি ‘ননসাবমিশন’ মামলা করেন।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় এক হাজার ১১৭ জন মারা যান। আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ১৯ জন মারা যান। ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

সূত্র: এনটিভি

সর্বশেষ - অপরাধ ও দুর্নীতি