সোমবার , ২২ মার্চ ২০২১ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

জীবনসঙ্গীর মন ভালো করতে নেপাল থেকে কী উপহার নিয়ে আসছেন সোহেল?

Paris
মার্চ ২২, ২০২১ ১:৪৯ অপরাহ্ণ

বিয়ের ১১ দিনের মাথায় জীবনসঙ্গীকে দেশে রেখে নেপালে চলে গেলেন জাতীয় ফুটবল দলের মিডফিল্ডার সোহেল রানা।

এতে নববধূ অনামিকার মন খারাপ হতেই পারে।  মধুচন্দ্রিমা তো দূরের কথা স্বামীর সঙ্গে ভালোমতো সময় কাটানোই হয়নি তার।

বিষয়টি অবশ্য ভালোই জানা ফুটবলার সোহেলের। তবে অনন্যোপায় তিনি। নেপালে ত্রিদেশীয় কাপ খেলতে যেতে হয়েছে তাকে। ব্যক্তিগত জীবনের চেয়ে ক্যারিয়ার যে বড় সোহেলের কাছে!

তাই বলে গত ৭ মার্চে শুরু হওয়া দাম্পত্য জীবনকেও হেলাফেলা করছেন না তিনি। কী করে নববধূর মন রক্ষা করা যায় তা নিয়ে ভাবছেন অবশ্যই।

নেপাল থেকে ফেরার পথে নতুন বউকে চমকে দেওয়ার মতো উপহার নিয়ে আসবেন সোহেল রানা।

উপহারের বিষয়টি জানিয়েছেন এই মিডফিল্ডার নিজেই।  বললেন, ‘বিয়ের পর আমার প্রথম টুর্নামেন্ট নেপালের ত্রিদেশীয় কাপ।  আমি এমন কিছু বউকে দিতে চাই, যাতে সে বেশি খুশি হবে।’

এবার প্রশ্ন উঠতেই পারে কী সেই উপহার? যা পেলে বিয়ের পর স্বামীর সান্নিধ্যের অভাব ভুলে যাবেন অনামিকার।  নেপালের ঐতিহ্যবাহী এমন কিছু যা সচরাচর পাওয়া যায় না!

কিন্তু সোহেল রানা বললেন ভিন্ন কথা। বললেন, ‘আমি এই টুর্নামেন্টে গোল করতে চাই, ট্রফি জিততে চাই।  এ দুটো প্রাপ্তি নিয়ে দেশে ফেরাটাই হবে আমার স্ত্রীর কাছে সবচেয়ে বড় উপহার। যদিও দর্শনীয় গোল করতে পারি এবঙ সেটা যদি ক্যারিয়ার সেরা হয় তাহলে তা ইতিহাস হয়ে থাকবে।  আমার স্ত্রীও প্রচণ্ড খুশি হবে এতে।  আমি চেষ্টা করব দেশের জন্য ভালো কিছু করতে।  আসলে স্বাধীনতার মাসে ট্রফি নিয়ে ফিরতে পারলে সেটা তো আনন্দের হবেই।’

প্রসঙ্গত, সোহেল রানা ও তামিলার বিয়ে কাহিনি সিনেমার রোমান্টিক গল্পের মতো।  শুরুর দিকে অনামিকার ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে ‘ফেক আইডি’ ভাবতেন সোহেল।  সৌজন্যবোধে চ্যাট করে যাওয়া ওপাশের মানুষটিই আজ তার স্ত্রী।

ছয় বছর ধরে চুটিয়ে প্রেম করার পর গত ৭ মার্চ ধানমণ্ডির এক রেস্তোরাঁয় দুজনের বিয়ে সারেন দুজন।

একে অপরের সঙ্গে কবে কীভাবে দেখা হয়েছিল? সেই ইতিহাসও সিনেমাটিক।  সেই গল্পটি শুনতে গিয়ে জানা গেল, ফুটবলের পাড়ভক্ত সোহেল রানার স্ত্রী অনামিকা।

নিজেই সে কথা জানিয়ে অনামিকার বলেছিলেন, ‘আমি ফুটবলপাগল। ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনাল খেলা দেখতে মাঠে যাই। সেদিন ১১ ফুটবলারের মধ্যে সোহেলের খেলা আলাদাভাবে ভালো লেগেছিল। পরে ফেসবুকে খুঁজে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাই।  ছয় বছর পর আমি তার স্ত্রী।’

ক্যারিয়ারে দুটি আন্তর্জাতিক গোল রয়েছে সোহেল রানার। দুটোই ক্লাব জার্সিতে। এর মধ্যে এএফসি কাপে তার একটি গোল হয়েছিল সপ্তাহসেরা এবং দ্বিতীয় হয়েছিল বর্ষসেরায়।

 

সুত্রঃ যুগান্তর

সর্বশেষ - খেলা