সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ‘পরিকল্পিতভাবে জাতীয় ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্র চলছে। একই সাথে বিরাজনীতিকরণের প্রচেষ্টাও চলছে।’
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আয়োজিত গণসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বরের মতো ৭ নভেম্বর জাতীর ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক দিন।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, পছাত্তরের সাত নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব, নব্বইয়ের স্বৈরাচার পতনের গণ অভ্যূত্থান এবং সাম্প্রতিক ফ্যাসিবাদ পতনের ছাত্র-গণ বিপ্লবের চেতনা-আকাঙ্খা একই সূত্রে গাঁথা; এক ও অভিন্ন।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র রক্ষা এবং দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সাত নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব মাইলফলক হয়ে থাকবে। দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র রক্ষায় যেমন ৭৫ এর ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব হয়েছিলো, তেমনি ২৪ এর ৫ আগস্ট ফ্যসিবাদ ও আধিপত্যবাদের কবল থেকে দেশ, জাতি ও গণতন্ত্র রক্ষায় গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র গণ বিপ্লব হয়েছে।’
গণ বিপ্লবের চেতনা বাস্তবায়ন করতে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিপ্লবের পর পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা আবার ষড়যন্ত্র করছেন।
সাত নভেম্বর ও পাঁচ আগস্টের বিপ্লবের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও গণ হত্যাকারী, তারা ফ্যসিস্ট, গণবিরোধী ও গণশত্রু। তাদেরকে নিয়ে গণতন্ত্র পূণরুদ্ধার প্রশ্নই ওঠে না। জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি গণতন্ত্র পূণরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় আছে, ইনশাআল্লাহ সফল হবে।’
কর্মসূচিতে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুল, আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, হাফেজ আজিজুল হক, আবু হাসনাত বদরুল কবির, আলী আশরাফ, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, ফরহাদ রাব্বানী সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: কালের কণ্ঠ