সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
দেশের ফেরিঘাট-মহাসড়কের চিহ্ণিত চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেন, দেশের ফেরিঘাট ও মহাসড়কগুলোতে চাঁদাবাজ-মাস্তানদের বিষয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন সরকারের হাতে এসেছে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী তাদের তালিকা করা হয়েছে। আজকের বৈঠকে তাদের শেষ সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সতর্ক করার পরও যারা এই অপরাধ আবার করবে, তাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না, যথাযথ আইনের আওতায় আনা হবে।
আজ সকালে শুরু হওয়া তিন ঘণ্টার বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী ও শ্রমিক নেতা শাজাহান খান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান, পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের নেতারা।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের তালিকা করা হলেও তাদের আইনের আওতায় আনতে সরকারের অসুবিধা কোথায়—তা জানলে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের তালিকাও করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। তার পরও তাদের শেষ সুযোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পরও এই অপরাধ করলে তারা যে-ই হোক না কেন, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালিকায় কারা রয়েছেন—তা জানতে চাইলে জবাবে মন্ত্রী বলেন, তালিকাটি আপাতত প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে এতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ আছে।
বিদ্যমান আইনে চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের গ্রেপ্তার না করে সতর্ক করার সুযোগ আছে কি না, তা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়েও আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সরকার সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে।
সরকার চাঁদাবাজ-মাস্তানদের কাছে জিম্মি কি না কিংবা তারা কি এত শক্তিশালী যে সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পাচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, বর্তমান সরকার অত্যন্ত শক্তিশালী, সরকার কাউকে পরোয়া করে না। সন্ত্রাসীরা যত ক্ষমতাশালীই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার পিছপা হবে না।
এ ছাড়া বিভিন্ন পরিবহনে যারা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান মন্ত্রী।
সূত্র:এনটিভি