সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় একটি সার কারখানার অ্যামোনিয়া সংরক্ষণের ট্যাংক বিস্ফোরণে আশপাশে বিশাল এলাকাজুড়ে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে বহু মানুষ রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখানকার জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, রাত ৩টা পর্যন্ত ৫৫ জনকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, রাত ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। মানুষজন মূলত শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণফুলী নদীর পারে ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট নামের একটি সার কারখানায়।
ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিদর্শক দোলন আচার্জ জানিয়েছেন, সার কারখানাটির অ্যামোনিয়া সংরক্ষণের বিশাল ট্যাংকটিতে দুই শ টনের মতো তরল অ্যামোনিয়া সংরক্ষিত ছিল। বিস্ফোরণে তা গ্যাস আকারে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
কারখানার ২৫ জন কর্মচারীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। ততক্ষণে মধ্যে গ্যাস খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়তে থাকে আশপাশের এলাকাগুলোতে।
নদীর অপর পারে পতেঙ্গা ও হালিশহর পর্যন্ত এই গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। মাইকিং করে আশপাশের এলাকার মানুষজনকে সরে যেতে বলা হয়। একপর্যায়ে মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিকে ছড়িয়ে পড়া তরল অ্যামোনিয়ায় পানি দিয়ে গ্যাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর চেষ্টা হয়েছে রাতভর। এখন তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
তবে পানির সাথে তরল অ্যামোনিয়া আশপাশের নালায় মিশে গেছে বলে জানিয়েছেন দোলন আচার্জি। যাতে কাছেই থাকা কর্ণফুলী নদীতেও তা মিশে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসেরও বেশ ক’জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
কারখানাটিতে এই বিস্ফোরণ কিভাবে ঘটেছে সে বিষয়ে রাতে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি তদন্তে রাতেই তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সকাল ১০টায় তাদের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে।