সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
অ্যালার্জি কেন হয় সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই অজ্ঞ। ধুলাবালির কারণেই মূলত শরীরে অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া খাদ্যদ্রব্য, ফুলের রেণু, বিভিন্ন ওষুধ, ধুলাবালি ইত্যাদির মাধ্যমেও অ্যালার্জি হয়ে থাকে। অ্যালার্জি এক ধরনের প্রদাহ।
মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেম কোনো কারণে ব্যর্থ হলেই মূলত অ্যালার্জির প্রকাশ ঘটে। চলুন, তাহলে জেনে নিই অ্যালার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়।
অ্যালার্জি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
অ্যালার্জি একটি মারাত্মক রোগ। এটি মানুষের দেহে প্রচণ্ড অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
তাই এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই জরুরি। প্রাকৃতিকভাবেই বিভিন্ন উপায়ে অ্যালার্জি দূর করা যায়। চলুন, দেখে নেওয়া যাক।
শাক-সবজি ও ফলমূলে প্রাকৃতিকভাবে বায়োফ্ল্যাভনয়েড নামে ফেনলের এক ধরনের যৌগ থাকে।
আর বায়োফ্ল্যাভনয়েড অ্যালার্জির বিরুদ্ধে বেশ কার্যকর।
গাছের ছাল ও ফলের খোসায় কোয়েরসেটিন নামে রাসায়নিক উপাদান থাকে। এটি অ্যালার্জি দূর করতে কাজে লাগে।
আনারসে ব্রোমেলিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক থাকে। এটি শরীরে অ্যালার্জি দূর করতে ভূমিকা রাখে।
ভিটামিন সি জাতীয় বিভিন্ন খাবার যেমন : লেবু, কাঁচা মরিচ ইত্যাদির মাধ্যমেও অ্যালার্জি প্রতিরোধ হয়। ভিটামিন ‘এ’ জাতীয় খাবারও অ্যালার্জি প্রতিরোধে বেশ কার্যকর। কুঁচিলা নামক গাছে স্টিকনিন, ক্রসিনসহ বিভিন্ন মূল্যবান উপাদান পাওয়া যায়, যা অ্যালার্জি রোধে কাজ করে।
এ ছাড়া শুকনা নিমপাতা গুঁড়া করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
অ্যালার্জি ও চুলকানি কি এক?
অ্যালার্জি আর চুলকানি একই বিষয় না। অ্যালার্জি হলে চুলকানি হয় এটা ঠিক, তবে চুলকানি ছাড়াও অ্যালার্জি হলে চাকার মতো লাল লাল দাগ হয় শরীরে।
অন্যদিকে শুধু অ্যালার্জি নয়, অন্য অনেক কারণেও চুলকানি হতে পারে।
শরীরে বিভিন্ন ধরনের দাদ রোগ বা খোস-পাঁচড়ার কারণে দেহে চুলকানি হতে পারে। ত্বকে প্রদাহের সৃষ্টি হলে চুলকানি হতে পারে যা একজিমা নামে পরিচিত। কখনো কখনো ব্রণ হলে ওই ব্রণের আশপাশে চুলকানি হতে পারে।
এ ছাড়া চুলকানির অন্যতম বড় একটি কারণ হলো গরমের দিনে ঘামাচি হওয়া। ঘামাচি হলে দেহে ছোট ছোট ফুসকুড়ি হয়, যা থেকে চুলকানির সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন পোকামাকড়ের কামড়েও দেহে চুলকানির দেখা দিতে পারে।
অর্থাৎ, বলা যায় অ্যালার্জি হলে চুলকানি হলেও অ্যালার্জি এবং চুলকানি এক জিনিস নয়।
সূত্র: কালের কণ্ঠ