সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য কয়েকটি শর্ত জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাঈম।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এসব শর্ত তুলে ধরে বাসেম নাঈম বলেছেন, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত।
তিনি নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসরাইলি দখলদার সরকারকে গাজা উপত্যকার ওপর তাদের আক্রমণ ও যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চাপ দেন। এর লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ লাঘব করা।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বলেন, হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে প্রস্তুত। এ নিয়ে যদি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়, এই শর্তে যে, ইসরাইল যেন এর প্রতি সম্মান দেখায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোনো নতুন প্রস্তাব পাইনি। তবে আমাদের কাছে কোনো প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে আমরা তা ইতিবাচকভাবেই বিবেচনা করব।
হামাসের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, মধ্যস্থতাকারীদের কাছে হামাস জানিয়েছে যে, তারা যে কোনো প্রস্তাবকে সমর্থন করবে। যদি সেটি একটি চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতির জন্য হয়। আর সেটা হতে হবে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি- যেখানে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুত মানুষদের ফিরিয়ে আনা, বন্দি বিনিময় এবং মানবিক সহায়তার প্রবেশ ও পুনর্গঠনের অনুমতি- এই বিষয়গুলো সুস্পস্টভাবে কার্যকর হবে।
ইসরাইলি বাহিনী গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের ঐতিহাসিক অভিযানের প্রতিশোধ হিসেবে অবরুদ্ধ গাজায় গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরু করে। যদিও হামসের ওই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসরাইলি শাসনের তীব্র নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া।
তবে ইসরাইলি হামলায় ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি জনগণের বসবাসের এই ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য এবং পানির সরবরাহ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে একটি সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করেছে।
সূত্র: যুগান্তর