সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার এক বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো প্রতিশোধমূলক হামলা থামানো কিংবা যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ নেই। গাজায় ইসরাইলের নিষ্ঠুর হামলা ইতি টানতে যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশটির পশ্চিমা মিত্ররা একরকম হাল ছেড়ে দিয়েছে। মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কোনো প্রচেষ্টাও কাজে আসছে না।
অব্যাহত আগ্রাসনে এরমধ্যে এ নিয়ে গত এক বছরে গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৪২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হলো। একই সময়ে আহত হয়েছে অন্তত ৯৭ হাজার ৭২০ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার এসব তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার পরিচালক আহমদ আল-কাহলুত বলেন, গোলাবর্ষণের তীব্রতা বাড়ছে। বেসামরিক লোকজন ও তাদের বাড়িঘরকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে। এ ছাড়া উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুন এলাকায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল।
তিনি আরো বলেন, রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত চার দিন ধরে কোনো ত্রাণ উত্তর গাজায় প্রবেশ করেনি। চলমান সংঘাতে উত্তর গাজায় বিপুলসংখ্যক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, পশ্চিম জাবালিয়ায় বেয়ার আল-নাজা এলাকায় কেউ নড়াচড়া করলেই গুলি করছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা বলেছে, ইসরাইলি অভিযানের কারণে উত্তর গাজায় চার লাখ লোক আটকা পড়েছে। আক্রমণের কারণে তারা আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত সাতটি স্কুলকে সরিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া শরণার্থী শিবিরের আটটি জলের কূপের মধ্যে মাত্র দুটি এখন কাজ করছে।
এদিকে বিশ্বজুড়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির তীব্র দাবি আমলে নিচ্ছে না বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। গাজার মতো লেবাননকেও পরিণতিভোগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তার মাধ্যমে গাজায় যে নৃশংস হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল, তা এক রকম স্বীকার করে নিল নেতানিয়াহু।
গত মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘লেবানন একটি দীর্ঘ যুদ্ধের অতল গহ্বরে পতিত হবে। যা দেশটিকে ধ্বংসযজ্ঞ ও দুর্ভোগের দিকে নিয়ে যাবে, যেমনটা আমরা গাজায় দেখছি। তবে আপনাদের সামনে লেবাননকে রক্ষা করার সুযোগ এসেছে।’
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি লেবাননের মানুষদের এটাই বলতে পারি, নিজেদের দেশকে হিজবুল্লাহর কবল থেকে মুক্ত করুন। এতেই এ যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটতে পারে।’
সূত্র: যুগান্তর