শুক্রবার , ৮ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘গর্ভনিরোধক ইনজেকশন নিয়ে ঝুঁকিতে নারীরা’

Paris
নভেম্বর ৮, ২০২৪ ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘গর্ভনিরোধক ইনজেকশন নিয়ে ঝুঁকিতে নারীরা’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জন্মনিয়ন্ত্রণে আগ্রহী নারীদের সারাদেশে সরকারি খরচে যে ইনজেকশন (ভায়াল) দেওয়া হয় এর মধ্যে তিন মাস মেয়াদের ইনজেকশনে বেশ কয়েকটি জেলায় ওষুধের পরিমাণ কম পাওয়া গেছে।

শরীরে প্রয়োগ করার পর বিষয়টি মাঠকর্মীদের নজরে আসে। ফলে ইনজেকশন গ্রহণকারী অনেকের এখন অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের।

বাংলাদেশে সরকারিভাবে দম্পতিদের মধ্যে পাঁচ ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। ইনজেকশন দেওয়া হয় তিন ও ছয় মাস মেয়াদে।

দরিদ্র শ্রেণির নারী এসব সামগ্রীর সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী।

যদিও দীর্ঘদিন মাঠ পর্যায়ে জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রীর চরম সংকট চলছে। ২৫ উপজেলায় জন্মনিয়ন্ত্রণের কোনো সামগ্রী নেই।

৩২৭ উপজেলায় ইনজেকশনের মজুতও শেষের পথে। এরই মধ্যে এমন ঘটনা সামনে এলো।

মানিকগঞ্জ, জামালপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শেরপুর, নওগাঁসহ বেশ কয়েকটি জেলায় পরিমাণে কম ওষুধ থাকা ভায়াল প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে।

সারাদেশে এ ইনজেকশন সরবরাহ করে টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। মাঠকর্মীদের লিখিত অভিযোগ পেয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠানটিকে শোকজ করে।

এর পর ইনজেকশন প্রয়োগ বন্ধের নির্দেশ ছাড়াও পরিমাণ কম থাকা ভায়ালের গুণগত মান পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে তারা।

প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের শরীরে প্রয়োগ হয়েছে, তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা।

কালের কন্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘বিচারের আওতায় পতিত স্বৈরাচার’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত ৫ই অগাস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ও দেশ ছাড়ার পর গত ৮ই অগাস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার নেতৃত্বে গঠন করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন মাস পূর্ণ হচ্ছে।

এই তিন মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের বড় সাফল্য হলো পতিত সরকারের অনেককে গ্রেফতার এবং তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা।

সেই সাথে গুম-খুনের তদন্ত, একতরফা ও অনিয়মের ভোটে নির্বাচিতদের নিয়ে গঠিত সংসদ বিলুপ্ত করা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথাকথিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ এবং পুলিশ, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিগত সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিতদের একাংশকে সরিয়ে দিয়ে বিচারের সম্মুখীন করাকে সাফল্য বলছেন অনেকে।

অর্থনীতির ক্ষেত্রে কিছুটা শৃঙ্খলা আনাটাও এই সরকারের অন্যতম সাফল্য।

এই তিন মাসে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার কথাও আলোচনায় আছে। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে গতানুগতিক ও আমলাতান্ত্রিক ধারার কারণে সাফল্য সীমিত বলে মনে করা হচ্ছে।

বলা হচ্ছে, একজন উপদেষ্টাকে অনেক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার কারণে কাজের অগ্রগতি কম।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো সন্তোষজনক নয়।

এদিকে সরকার পতনের পর দেশের ৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন। কিছু পথ এখনো শূন্য রয়েছে।

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবারো বেড়ে ১২.৬৬%’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে গত অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি আবারো দুই অংক ছাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার।

বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কয়েক দফায় নীতি সুদহার বাড়ানোর পাশাপাশি নিত্যপণ্যের শুল্কছাড় এবং বাজার তদারকিতে ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এরপরও তা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।

উল্টো ভোক্তাদের জন্য পরিস্থিতি দিনে দিনে আরো অসহনীয় হয়ে উঠছে। এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য হলো শুধু নীতি সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

বরং এখানে রাজস্বনীতি, বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের সরবরাহ চেইনে শৃঙ্খলা ফেরানোও গুরুত্বপূর্ণ।

নইলে শুল্কছাড়ের সুফল ভোক্তার কাছে না পৌঁছে গুটিকয়েক সিন্ডিকেটের পকেটে ঢুকে যাবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য অর্জনও দিনে দিনে আরো কঠিন হয়ে পড়বে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজার ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। সরকারকে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থাপনায় জোর দিতে হবে।

নিত্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এলসি মার্জিন ছাড়াই নিত্যপণ্য আমদানির সুযোগ দেয়া এবং খাদ্য, নিত্যপণ্য ও সার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার সময় সাময়িকভাবে একক গ্রাহক ঋণসীমায় ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

নয় দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘মুজিববর্ষে অপচয় প্রকাশ করবে সরকার’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে ঘোষিত মুজিব বর্ষে কী ধরনের কাজ হয়েছে, কত টাকা অপচয় হয়েছে, তা বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, আমরা যেখানে আইএমএফ-এর কাছে হাত পেতে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চাচ্ছি। সেখানে মুজিব বর্ষের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করছি, কিছু ম্যুরাল বানিয়ে কিছু স্ট্যাচু বানিয়ে।

শুধু মাত্র সরকারি কোষাগার থেকে টাকা গেছে বিষয়টা তা না। অনেক ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও জোর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ফলে কেউ মুজিব কর্নার করেছে কেউ মুজিবের ম্যুরাল বানাতে বাধ্য হয়েছেন।

মুজিববাদকে সামনে রেখে কত টাকা অপচয় হয়েছে তা জানার জন্য ডকুমেন্টেশন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে উপদেষ্টার পরিষদের বৈঠকে।

মুজিববর্ষে যে সব আমলা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রেস সচিব বলেন, আগে ডকুমেন্টেশন হোক তার পরে দেখা যাবে কি করা যায়।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘এলএনজি ব্যবসায় চক্র, নেপথ্যে নসরুল হামিদ’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, খোলাবাজার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঘুরেফিরে চারটি কোম্পানি বেশি কাজ পেয়েছে। এর মধ্যে দুটি কোম্পানি কাজ পেয়েছে সরকার পতনের পরও।

বেশি কাজ পাওয়া চারটি কোম্পানি হলো সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া ও গানভর, সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাকসিলারেট এনার্জি।

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, ৬০ শতাংশের বেশি এলএনজি সরবরাহ করেছে ভিটল এশিয়া ও গানভর। এই দুটি কোম্পানির সঙ্গে নসরুল হামিদের পরিবারের সদস্য, বন্ধু ও পারিবারিক কোম্পানির ব্যবসায়িক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে এলএনজি ব্যবসার এই চক্র মূলত গড়ে উঠেছে সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের মাধ্যমে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এলএনজি সরবরাহে কোনো কাজ পায়নি ভিটল এশিয়া। তবে অক্টোবরে দুটি করে মোট চারটি এলএনজি কার্গো সরবরাহের কাজ পেয়েছে টোটাল ও গানভর।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ভিটল এশিয়া, গানভর ও টোটালের ব্যবসা নিয়ে বিশ্বে বিতর্ক আছে।

খোলাবাজার থেকে এলএনজি আমদানি করতে দেশে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আছে ২৩টি। খাতসংশ্লিষ্টদের দাবি, এমনভাবে এই তালিকা করা হয়েছে, যাদের অনেকে দরপত্রে অংশ নিতেন না।

বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে ধারণা ছিল, দরপত্রে অংশ নিলেও তারা কাজ পাবে না। বরং নসরুল হামিদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোই কাজ পাবে।

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘কয়লার দাম ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়েছে আদানি’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে গত জুন পর্যন্ত ১৫ মাসে শুধু কয়লার দাম বাবদ বাংলাদেশ থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়েছে ভারতের বৃহৎ শিল্প গ্রুপ আদানি।

রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা কেনার সময় সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ডিসকাউন্ট (মূল্যছাড়) পাওয়া গেলেও আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে তা পায়নি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।

নিজের খনি থেকে কয়লা সরবরাহ করা আদানি এক্ষেত্রে কোনো ডিসকাউন্ট দেয়নি। কেবল তা-ই নয়, খারাপ মানের কয়লা দেওয়ার পরও চড়া দাম নিচ্ছে আদানি।

চুক্তির দুর্বলতার কারণে এসব নিয়ে আদানির সঙ্গে আলোচনায়ও পেরে উঠছে না পিডিবি।

আদানির চুক্তি ও আদানির কয়লা কেনার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রতি টন ৪৬০০ কিলো ক্যালরির কয়লা ৯০ ডলারে কিনছে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার টাকা দিচ্ছে পিডিবি।

অন্যদিকে একই মানের কয়লা পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র কিনছে ৬৮ ডলারে। সে হিসাবে প্রতি টনে ২০ থেকে ২২ ডলার বেশি নিচ্ছে আদানি।

আদানি আবার এই কয়লা নিজের খনি থেকে কিনছে। আদানির কয়লায় ডিসকাউন্ট না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি টনপ্রতি বাড়তি ২০ থেকে ২২ ডলার নিচ্ছে।

আর বছর শেষে অন্তত তিন হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাচ্ছে শুধু কয়লা বিক্রি করে।

এর কারণ আদানির কেন্দ্রের জন্য কয়লা কেনার চুক্তিতে ডিসকাউন্টের বিষয়টি নেই, যেটা কি না পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রয়েছে। এই সুযোগটিই নিচ্ছে আদানি গ্রুপ।

এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পিডিবি যদি নিজে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা কেনার কাজটি হাতে নেয়, তাহলে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট নিতে পারবে, সে ক্ষেত্রে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামে আনা কয়লার বাড়তি দাম নিতে পারবে না।

দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘চাকরির শঙ্কায় ৩৫৭৪ পুলিশ!’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রশিক্ষণরত অবস্থায় উপপরিদর্শক (এসআই) পদের ৩১০ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার পর চাকরি হারানোর শঙ্কায় আছেন প্রশিক্ষণরত তিন হাজার ৫৭৪ জন কনস্টেবল।

এই উভয় পদের জনবল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ পাওয়া বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদের সদস্যদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ তিন হাজার ৫৭৪ জন কনস্টেবল নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তাদের বেশিরভাগের ক্ষেত্রে দলীয় পরিচয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া প্রাধান্য পেয়েছে বিশেষ জেলাগুলো। আর এজন্য তাদের বিষয়ে জোরালো তদন্ত শুরু হয়েছে।

এই কনস্টেবলরা নোয়াখালী, টাঙ্গাইল, রংপুর, খুলনা ও রাঙ্গামাটি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত। আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের কর্মস্থলে যাওয়ার কথা রয়েছে।

তবে তাদের নিয়োগ বাতিল করবে নাকি কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হবে, তা নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে আলোচনা চলছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে, চাকরিচ্যুত এসআইদের কেউ কেউ ক্ষোভ জানাচ্ছেন। সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে দাবি করেছেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো কোনো কাজ তারা করেননি। কী কারণে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো, তা বুঝতেই পারছেন না।

বিগত সরকারের আমলে পুলিশে নিয়োগ ও পদোন্নতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে কনস্টেবল এসআই ও সহকারি পুলিশ সুপারদের নিয়োগ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

নিউ এজ এর প্রধান শিরোনাম, ‘এড়াঃ ফবপরফবং ঃড় ৎবঢ়বধষ ঈঝঅ’ অর্থাৎ ‘সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার বৃহস্পতিবার বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বাতিল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রায় সব মহলের সমালোচনা উপেক্ষা করে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি পাশ হয়েছিল।

পরবর্তীতে তীব্র সমালোচনার মুখে, আইনটি ২০২৩ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইনে প্রতিস্থাপিত করা হয়। যদিও প্রায় সব মহল এই আইনটি বাতিলের দাবি করে কেননা নতুন আইনে ২০১৮ সালের আইনের প্রায় সব বিধান বহাল রাখা হয়েছিল।

গত ৩০শে সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় একটি বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করেছে যে সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীনে দায়ের করা মত প্রকাশের স্বাধীনতা সম্পর্কিত মামলাগুলো প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

একই সঙ্গে এ ধরনের মামলায় কেউ গ্রেফতার হলে তাকেও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বর্তমানে, বাকস্বাধীনতা সম্পর্কিত এক হাজার ৩৪০টি মামলা ট্রাইব্যুনালগুলোয় বিচারাধীন রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ - জাতীয়