সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
রাত ১২টার মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের (বিকাশ, রকেট ইত্যাদি) মাধ্যমে লেনদেন বন্ধ রাখার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে গভীর রাতে যেসব এজেন্ট বা গ্রাহকের মোবাইল হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন হয় সেসব হিসাব কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
মঙ্গলবার বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২৩৪ কোটি টাকা আয় হলেও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬৭ কোট টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরে ১৩৩ কোটি টাকা বেশি আয় হয়েছে।
অপর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, গত অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। উক্ত লক্ষ্যমাত্রায় আদায় হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা।
মুদ্রানীতির কারণে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগপ্রবাহ কমছে- সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ্র এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, না, এটি সত্য নয়। মুদ্রানীতির কারণে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ কমে যাচ্ছে না, বরং বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময়ই অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসংস্থান-সহায়ক এবং বিনিয়োগবান্ধব মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়ে আসছে। বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধির বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে মুহিত জানান, ২০১৩ সালের জুন থেকে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩ অর্থবছরে শতকরা ১০ দশমিক ৮৫ ভাগ থেকে পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে চলতি অর্থবছরের এপ্রিল শেষে তা ১৭ দশমিক ৬৫ ভাগে দাঁড়িয়েছে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে অর্থবছর ২০১৭-এর জিডিপির উচ্চ প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। ওই অর্থবছরের মোট বিনিয়োগের শতকরা ৭৫ দশমিক ৭ ভাগই বেসরকারি বিনিয়োগ। জিডিপির মোট বিনিয়োগ ২০১৬ অর্থবছরে শতকরা ২৯ দশমিক ৭ ভাগ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে অর্থবছর ২০১৭-এ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫ ভাগ। একইসঙ্গে সরকারি বিনিয়োগও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৩-এর শতকরা ৬ দশমিক ৬ ভাগ থেকে ২০১৭-এ জিডিপি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪ ভাগে। কাজেই মুদ্রানীতির কারণে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কমে বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।