সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও দেশীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত ১০৮২টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা রিউমর স্ক্যানার। এর মধ্যে গত আট মাসে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। যা মোট রাজনৈতিক ভুল তথ্যের ১৭ শতাংশ। ১২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ হলো আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট চেকিং নেটওয়ার্ক স্বীকৃত বাংলাদেশের একটি ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর প্রধান লক্ষ্য বাংলাদেশের গণমাধ্যমে যেসব গুজব ও ভুয়া সংবাদ প্রচারিত হয় তার সঠিক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
রিউমর স্ক্যানারের গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফ্যাক্টচেক থেকে গণনাকৃত এই সংখ্যার মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়ে সবচেয়ে বেশি (২৪৮) ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ মিলেছে। যা মোট ভুল তথ্যের ২৩ শতাংশ। গেল বছর (২০২২) রাজনৈতিক বিষয়ে ছড়িয়ে পড়া ৯২টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছিল রিউমর স্ক্যানার। এ বছর প্রথম পাঁচ মাসেই এ সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।
রিউমর স্ক্যানার টিমের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গত আট মাসে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক (৪৩টি) ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। যা মোট রাজনৈতিক ভুল তথ্যের ১৭ শতাংশ।
রিউমর স্ক্যানারের পর্যবেক্ষণ বলছে, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় চলতি বছর ইন্টারনেটে রাজনৈতিক বিষয়ক ভুল তথ্যের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে জড়িয়ে গত আট মাসে ৭৪টি ভুল তথ্য ছড়ানোর প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার। নির্বাচন সামনে রেখে বিদেশি গণমাধ্যম, রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং তাদের নেতৃত্বকে উদ্ধৃত করে বা জড়িয়ে ভুয়া মন্তব্য বা তথ্য প্রচারের প্রবণতাও লক্ষ্য করেছে রিউমর স্ক্যানার। যার সংখ্যা ২৪টি।
প্রতিবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছড়ানো ৪৩টি ভুল তথ্য সম্বলিত তথ্যের মধ্যে বেশির ভাগই বিরোধী পক্ষের তৈরি করা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিষয়ে ১২টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে।