বৃহস্পতিবার , ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

গঙ্গা বাঁধের অর্থায়নের অনিশ্চয়তা নিরসনে বৈঠক

Paris
সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬ ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘদিনের পরিকল্পিত বাংলাদেশের অন্যতম অগ্রাধিকারমূলক গঙ্গা বাঁধ প্রকল্পের অর্থায়নে এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব জটিলতা নিরসনে বৃহষ্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক।

 

বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

সূত্র জানায়, প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য প্রথমে জাপান এবং পরে চীন ও ভারতের সহায়তা চায় বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সার্বিক অংশিদারিত্বমূলক সম্পর্কে রুপান্তরসহ আগামী ৪ থেকে ৫ বছরে ৬শ’ কোটি ডলারের যে ঋণ সহায়তার ঘোষণা আসে, তার একটি অংশ গঙ্গা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে দেওয়ার কথা ছিলো। তবে এ প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য ভারতের মতামত লাগবে বলে জানিয়ে ছিলো জাপান।

 

পরে বাংলাদেশ চীনের কাছে অর্থায়ন চাইতে গেলে তারাও ভারতের ইতিবাচক সাড়া চায়। সে অনুযায়ী ব্যারেজটি নির্মাণে পরামর্শক সহায়তা দিতে ভারতকে অনুরোধ করেছিলো বাংলাদেশ। তবে এ প্রকল্পটি নিয়ে ভারতের ইতিবাচক মনোভাব পাওয়া যায়নি।

সূত্র জানায়, গঙ্গা বাঁধের ফলে দেশটির অংশের অববাহিকায় বন্যা সৃষ্টি হবে বলে মনে করছে ভারত। এ কারণে গঙ্গা বাঁধের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না দেশটি।

মূলত বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ফারাক্কা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণ করতে চায় বাংলাদেশ। এর প্রেক্ষিতে প্রকল্পটির অর্থায়নের বিষয়ে অনিশ্চয়তা ও জটিলতা নিরসনে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

 

২০০৫ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অধীনে বাস্তবায়নের জন্য গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্প সমীক্ষা-২ অনুমোদন করে সরকার। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট (ডিডিসি) লিমিটেড এর সমীক্ষা পরিচালনা ও বিস্তারিত নকশার কাজ করে।

 

পরে ২০১৫ সালে জমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসনসহ প্রকল্প প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করা হয়। এরপরেই বিদেশি সহায়তা পেতে পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পটি জমা পড়ে।

 

জানা যায়, এ প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। এর আওতায় ২ হাজার ১০০ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট মূল ব্যারেজ, ৭৮টি স্পীলওয়ে, একটি নেভিগেশন লক, ২টি ফিসপাস ও অন্যান্য স্থাপনাদি নির্মাণের কথা রয়েছে।

সূত্র:  বাংলা নিউজ

সর্বশেষ - জাতীয়