রবিবার , ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

খোসাসহ যেসব ফল খেলে উপকার মিলবে

Paris
অক্টোবর ১৩, ২০২৪ ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

আমরা সাধারণত ফলের খোসা ফেলে দিয়ে শুধু ভেতরের অংশই খাই। তবে অনেক ফলের খোসাতেও রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অনেক ফলের খোসায় এমন উপাদান থাকে, যা সরাসরি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমে সাহায্য করে এবং ত্বক ও চুলের যত্নেও ভূমিকা রাখে। তাই ফলের খোসা ফেলে না দিয়ে খোসাসহ খাওয়া উচিত।

আসুন, জেনে নিই যে ফলগুলোর খোসাসহ খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
আপেল

আপেলের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া আপেলের খোসায় ভিটামিন সি, কে, এবং এ পাওয়া যায়, যা ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে। তাই আপেলের খোসা ফেলে না দিয়ে খোসাসহ খাওয়ার অভ্যাস করুন।

শশা

শশার খোসায় রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা হজমের সমস্যা দূর করে এবং পেটের সুস্থতা বজায় রাখে। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। তাই শসা খাওয়ার সময় খোসা না ফেলে খোসাসহ খান।

পেয়ারা

পেয়ারার খোসায় ভিটামিন সি ও ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি।

খোসাসহ পেয়ারা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যায়। এটি হাড় ও দাঁতের জন্যও উপকারী।
আঙুর

আঙুরের খোসায় রেসভারেট্রল নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ক্যান্সার নসার এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া আঙুরের খোসা খেলে ত্বক সুস্থ থাকে এবং বার্ধক্যের ছাপ কমায়।

প্লাম

প্লামের খোসায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ই থাকে, যা ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

খোসাসহ প্লাম খেলে শরীর থেকে ফ্রি র‍্যাডিকেল দূর হয় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
কুমড়া

কুমড়ার খোসায় বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। কুমড়া খোসাসহ খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং হাড়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

কিউই

কিউইয়ের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা হজমের জন্য খুবই উপকারী। খোসাসহ কিউই খেলে হজমের সমস্যা কমে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুর খোসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি থাকে, যা ত্বক ও দৃষ্টিশক্তির জন্য উপকারী। খোসাসহ মিষ্টি আলু খেলে ফাইবারের পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়, যা পেটের সমস্যাগুলো দূর করে।

লেবু

লেবুর খোসায় ভিটামিন সি ও ফাইবার থাকে, যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। খোসাসহ লেবু খেলে শরীরের ফ্রি র‍্যাডিকেল কমে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

আম

আমের খোসায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। খোসাসহ আম খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের সুস্থতা বজায় থাকে।

ফলের খোসায় অনেক সময় কীটনাশক বা রাসায়নিক পদার্থ থাকতে পারে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ফল খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। ভালো হয় যদি খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ ফলটি পানিতে ভিজিয়ে রাখা যায়।

ফলের খোসায় প্রায়ই সেই পুষ্টিগুলো থাকে, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং খোসা ফেলে না দিয়ে পরিষ্কার করে খেলে স্বাস্থ্য উপকারিতা আরো বেশি পাওয়া যায়।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল