সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
এখনো তিনি আপাদমস্তক একজন ফুটবলার। তবে এই পরিচয়ের পাশাপাশি তার অন্য একটা গোপন পরিচয়ও আছে। লিওনেল মেসি আসলে ব্যবসায়ীও। হোটেলসহ একাধিক ব্যবসা আছে বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের। ফুটবলারের অন্তরালে এবার যুক্ত হয়ে গেল তার আরও একটি পরিচয়। মেসি এখন ফুটবল ক্লাবেরও মালিক।
সত্যিই তাই। তবে একক মালিক নন, জেরার্ড পিকে ও সেস ফ্যাব্রিগাসের সঙ্গে তিনিও একজন অংশীদার। কিছুদিন আগেই বার্সেলোনা ভিত্তিক একটা আধা পেশাদার ক্লাবের মালিকানা কিনেছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। এফসি অ্যান্ডোরা নামের ক্লাবটি আসলে তার মালিকানাধীন কোম্পানি কসমস ক্লাবটা কিনেছে। পিকের সেই ক্লাবের শেয়ার কিনে মেসি এবং ফ্যাব্রিগাসও বনে গেলেন মালিক।
এল ডিয়ারি ডি অ্যান্ডোরা এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে এই খবর। তবে মেসি ও ফ্যাব্রিগাস ঠিক কত শতাংশ শেয়ার কিনেছেন সেটা জানানো হয়নি। তবে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে, পিকের কোম্পানি কসমসের তুলনায় কম শতাংশ শেয়ার কিনেছেন তারা। মানে এখনো ক্লাবটির মুল মালিক পিকের কসমস গ্রুপ। সেই সুবাদেই ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট বিশ্বখ্যাত সংগীত শিল্পী শাকিরার প্রেমিক পিকে।
এফসি অ্যান্ডোরা কাতালনের প্রথম বিভাগে খেলছে। যা স্পেনের চতুর্থ পর্যায়ের লিগ। তবে কসমস গ্রুপ মালিকানা কেনার পরই ক্লাবটিকে পুরোপুরি পেশাদার ক্লাবে পরিণত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। ক্লাবটির কোচিং দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পিকে-মেসিদের বার্সেলোনারই সাবেক দুই খেলোয়াড় আলবার্ট জরকুয়েরা ও গ্যাব্রি গর্সিয়াকে। শুধু তাই নয়, ক্লাবটিকে শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে নতুন খেলোয়াড় কেনাও শুরু করে দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই কেনা হয়েছে ৪ জন নতুন খেলোয়াড়।
ক্লাবটিকে ঘিরে পিকে-মেসিদের চূড়ান্ত লক্ষ্যের কথা জানা যায়নি। তবে মেসি-পিকে-ফ্যাব্রিগাসদের মতো বিশ্বসেরা ফুটবলাররা যখন ফুটবলের ব্যবসায় নাম লিখিয়েছেন, ক্লাবটিকে যে তারা পুনর্গঠন করে বিখ্যাত করার চেষ্টা করবেন, সেটা অনুমিতই। টাকা তো তাদের আর কম নেই। ইচ্ছা করলেই তিনজনে মিলে কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে এফসি অ্যান্ডোরায় বসাতে পারবেন তারার মেলা। চতুর্থ পর্যায় থেকে ক্লাবটিকে তুলে আনতে পারবেন শীর্য পর্যায়ে।
কে জানে, পিকে-মেসিদের পরিকল্পনাও হয়তো সেটাই। টাকার প্রভাবে ধীরে ধীরে অখ্যাত ক্লাবটিকে বিখ্যাত করা।