সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের প্রাক্তন মহাপরিচালক সফিক-উর-রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।
বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর নিউ ডিওএইচএসের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, সংস্থার পরিচালক এনামুল বাছিরের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন দুদকের দুই উপপরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম ও আহমেরুজ্জামান। সফিক-উর-রহমানকে রমনা থানা-হেফাজতে রাখা হয়েছে।
১৯৯৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর দায়েরকৃত মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন কমোডর বিএন এম এম রহমান, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বি এন রাশেদ তানভীর, লেফটেন্যান্ট বিএন এম এস উদ্দিন ও সাব-লেফটেন্যান্ট আশরাফুর হক।
মামলা করার ১৮ বছর পর শফিক-উর-রহমানকে গ্রেপ্তার করা হলো। মামলা দায়েরের পরপরই এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন সফিক-উর-রহমান। সম্প্রতি রিটের নিষ্পত্তি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারিক আদালত।
অভিযোগের বিষয়ে মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায, কোস্টগার্ডের প্রায় ১১ হাজার ১০০ মেট্রিক টন গম অবৈধভাবে বিক্রি করে ৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাত করেন সফিক-উর-রহমানসহ পাঁচজন। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ১৯৯৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর অফিসার সৈয়দ ইকবাল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহারে আরো বলা হয়েছে, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় চট্টগ্রাম, মংলা ও পটুয়াখালী অঞ্চলের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সময়ে দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে কোস্টগার্ডের অনুকূলে ১১ হাজার ১০০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। নিয়মানুযায়ী ওই গম বিক্রির সুযোগ ছিল না। কিন্তু কোস্টগার্ডের তৎকালীন মহাপরিচালক সফিক-উর-রহমান ওই গম বিক্রির জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটি কতগুলো ভুয়া প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোটেশন নিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো ৫ টাকা কেজি হিসেবে ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকায় গম বিক্রি করে। অথচ ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর হিসেবে গমের বাজারমূল্য ছিল প্রতি কেজি ১১ টাকা ৬৪ পয়সা। যার মূল্য দাঁড়ায় ১২ কোটি ৯২ লাখ ৪ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে সাত কোটি ৩৭ লাখ ৪ হাজার সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কাছে প্রমাণিত হয়।
১৯৯৭ সালের ১ মে থেকে ১৯৮১ সালের ৩০ এপ্রিল সময়ের মধ্যে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে বলেও মামলার এজাহারে বলা হয়।
সূত্র: রাইজিংবিডি