সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এখন ঠাকুরগাঁওয়ে আছি, আমি আপনাকে (ওবায়দুল কাদের) আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি আয়োজিত ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ না করলে পালানোর পথ পাবে না মন্তব্য করেছিলেন বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম। পরবর্তীতে এর জবাবে এক জনসভায় ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, আমরা পালাব না। প্রয়োজনে মির্জা ফখরুলের বাসায় গিয়ে উঠব। আমরা পালাতে জানি না। এই দেশে জন্ম নিয়েছি, এই দেশেই মরব। পালাব না। কোথায় পালাব? প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠব। কি জায়গা দেবেন? না হলে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়ি আছে না, ওই বাড়িতে গিয়ে উঠব।
সমাবেশে ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ওবায়দুল কাদের না পালিয়ে আমার ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে আসতে চেয়েছিলেন। এখন তিনি কোথায় পালিয়ে আছে। ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল আরও বলেন, এখন ঠাকুরগাঁওয়ে আছি, আমি আপনাকে (ওবায়দুল কাদের) আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
এদিকে, মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মইনুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। একজন ছাত্র ও একজন হকার। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। এসব হত্যার ঘটনায় ইন্ধনদাতা হিসেবে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিউমার্কেট থানার ওসি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিউমার্কেট থানায় রুজুকৃত মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণভবন কর্মসূচিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য থেকে শুরু করে বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ নেতা আত্মগোপনে চলে যান।