রবিবার , ৩ মে ২০২০ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষিপণ্য বুকিং ছাড়াই ছেড়ে গেল পার্সেল স্পেশাল ট্রেন

Paris
মে ৩, ২০২০ ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ

সারা দেশে ২৪ মার্চ থেকে রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকা অবস্থায় সরকারি সিদ্ধান্তে রেল কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবার থেকে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য, শাকসবজি, খাদ্য ও পচনশীল পণ্য পরিবহনের জন্য তিনটি পার্সেল বিশেষ (স্পেশাল) ট্রেন চালু করেছে। এর মধ্যে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা পথে চালু হওয়া ট্রেনটি যথারীতি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে আসে। কিন্তু প্রথম দিনে কৃষিপণ্য বা খাদ্যসামগ্রী বুকিং ছাড়াই ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, পার্সেল স্পেশাল ট্রেনটি ঢাকা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টায় দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রেনটিতে পাঁচটি বগি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও রেলের অন্য কর্মচারীদের জন্য একটি বগি যুক্ত রয়েছে। দুপুর ১টা ৫৪ মিনিটে ট্রেনটি জামালপুর রেলস্টেশনে থামে। এখানে দুই ব্যক্তির ২৩ মার্চ বুকিং করা ২৪টি পার্সেল সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামান স্টেশনের পার্সেল বুকিং সেকশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কুলি-শ্রমিকরা।

পার্সেলগুলোয় একজনের কিছু আসবাবপত্র (ফার্নিচার) এবং অন্যজনের মশারি তৈরির কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী ছিল। ট্রেনটিতে সরকার ঘোষিত কৃষিপণ্য, খাদ্য ও পচনশীল কোনো পণ্যের পার্সেল বুকিং হয়ে আসেনি। এ সময় জামালপুর স্টেশন মাস্টার শেখ উজ্জল মাহমুদ, জামালপুর রেলওয়ে থানার ওসি তাপস চন্দ্র পণ্ডিত ও স্টেশনের প্রধান পার্সেল সহকারী মিনহাজুল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। মিনহাজুল আবেদীন  জানান, ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত রুটে নতুন করে সরকার ঘোষিত কৃষিপণ্য বুকিং হয়নি। প্রথম দিন হওয়ায় মনে হয় এমন হয়েছে। দুই-এক দিন গেলে বোঝা যাবে কৃষিপণ্য বুকিং হবে কি না। পরে ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেলস্টেশনে পৌঁছে দুপুর সোয়া ২টার দিকে। সূচি অনুসারে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছাড়া পর্যন্ত কোনো কৃষক বা কৃষিপণ্যের ব্যবসায়ীদের কোনো পণ্য বুকিং হয়নি। পণ্য বুকিং ছাড়াই ছেড়ে যায় ট্রেনটি। দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেলস্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার আব্দুল বাতেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সরকার কৃষি ও পচনশীল পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রেনটি চালু করলেও কৃষক এবং কৃষিপণ্য, খাদ্য ও পচনশীল পণ্যের ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা হয়তো জানেন না। তাই ট্রেনটি আজকে খালি গেল।’

জামালপুর রেলস্টেশন মাস্টার শেখ উজ্জল মাহমুদ বলেন, ‘পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালু করায় জামালপুর জেলার কৃষক ও কৃষিপণ্যের ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক সুবিধা করে দিয়েছে সরকার। ট্রাকে পণ্য পরিবহনের চেয়ে ট্রেনে পরিবহন খরচ অনেক কম লাগবে। স্থানীয় প্রশাসন, সরকারের কৃষি বিভাগ এমনকি রেল কর্তৃপক্ষ ট্রেনে পণ্য পরিবহনের বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক প্রচার চালালে হয়তো অনেকেই ট্রেনে কৃষিপণ্য বুকিং ও পরিবহনে উৎসাহী হবে।’

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - সব খবর