ভুলের শ্রেণীকক্ষ
ভুলকে দখল করে ভুলে গেছি জীবন ও আনন্দ!
মাচার মাঠের ভেতর শূন্যবাতাসের ভুলশব্দ
জিগার ডালগুলো ভুলের অন্ধকারে—
মাটিতে প্রাণ আনে ভুল ব্যবহৃত জলের ছোঁয়ায়
আনন্দে ভুল জীবনে ভুল— ভুল সমরবিদ্যায়
শিক্ষাদান এক পরম ভুল! আদর্শ দিয়ে শুরু
শেষ মারণাস্ত্রের বিদ্যার পাঠে।
ভালোবাসা আবেগের রসায়ন ক্রিয়ার ফল
মর্মে যার শুরু অন্ধত্বে, শেষ যেন ভুলের খেসারত
আহা ভুল! সুখের অন্বেষণে এই ভুলই
চর্বিত চর্বনে পাঠ হয় ভুলেরই শ্রেণীকক্ষে।
ভুলের সাথে সন্ধি করে কাদম্বরি আসে না আর
ভবতারিণী বালিকাভুলে ঋষির পদযুগলে আশ্রিত
ভুলের যুদ্ধউদরে জীবনানন্দ ট্রামের চাকার—
চক্রায়মাণ লৌহচাকায় ঘুরছেন অদ্যাবধি
ভুল শুধরাতে সামনে আসে দখলি ভুলসমগ্র।
শাসন
প্রধান সড়কে পৌঁছাবার আগেই
গলিপথের মুখটা ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে আছে।
আচমকা ভয়, যেন নোম্যান্সল্যান্ড
দু’পাশে সীমান্তরক্ষীদের তাক করা নল
অন্ধকারের শাসন।
বিদ্ঘুটে এই আঁধারগহ্বর যেন
অলীক রহস্যরজালও ভীষণ ঘনত্বেপূর্ণ!
রহস্যময় ঘনত্বের আঁধার মাড়িয়ে সড়কে পৌঁছাতে
ওৎ পেতে থাকা কুৎসিত অন্ধকারের সাথে
সমঝোতা স্বাক্ষর ছাড়া
কিংবা সাদা পতাকার শর্ত ছাড়া
দু’পাশের নলগুলো যেকোনো সময়ই বিকট শব্দে
বিস্ফোরিত হয়ে গেলে একটা বা দুটো চিৎকার
কিছুক্ষণ অন্ধকারকে আরও অসহায় করে তুললে
কিছু সারমেয়র অনুসন্ধানী চোখ ঠিকরে
সার্চলাইটের মত আলোর প্রতিফলনে
মশালের দাউদাউ ভাষাশিক্ষার
প্রয়োজনীয়তার কথা মনে করে সড়ক আর
গলিপথ এক হয়ে নোম্যান্সল্যান্ড বিলীন হয়ে যায়।
আর সীমান্তরক্ষীর নল থেকে বিস্ফোরণের
ধোঁয়ার গল্পটা বড্ড সেকেলে হয়ে যায়।
পোষা তিমি
যেদিন আমাকে
বুকের গভীরে নিয়েছিলে
সেদিন তোমার বুকের মধ্যে
এক পোষা তিমি ছেড়ে দিয়েছিলাম।
তিমিটা সারাক্ষণ তোমার বুকের গভীর জলে
সাঁতার কেটে কেটে ঢেউ তোলে…
আর ঐ বুকে ভুল করে কেউ এলে
টুপ করে নেয় গিলে।