সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
আফগানিস্তানের কাবুলে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৬১ জন নিহত হয়েছেন। ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
হামলায় আরও দুইশ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির গণস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
শনিবার আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু শিয়া মতাবলম্বী হাজারা জনগোষ্ঠীর সমাবেশে এই হামলা হয়।
হামলার দায় স্বীকার করে আইএসের মুখপত্র আমাক বলেছে, “কাবুলে শিয়াদের একটি জমায়েতে দুইজন যোদ্ধা বিস্ফোরক বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।”
টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে রক্তে ভেসে যাওয়া রাস্তায় অনেক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
হামলার নিন্দা জানিয়ে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ ই-মেইলে গণমাধ্যমকে বলেন, এ হামলার পেছনে তাদের হাত নেই।
“আফগানিস্তানের জনগণকে বিভক্ত করে দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা আমরা কখনও ঘটাব না।”
হামলার পর এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেন, “সুযোগ সন্ধানী সন্ত্রাসীরা বিক্ষোভকারীদের দলে মিশে গিয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। হামলায় আমাদের দেশের সামরিক ও বেসামরিক অনেক নাগরিক হতাহত হয়েছে।”
আফগান সরকার তুর্কমেনিস্তান থেকে কাবুলে বিদ্যুৎ আনার জন্য নতুন একটি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বসানোর পরিকল্পনা করেছে।
হাজারা জনগোষ্ঠীর দাবি, সরকারের পরিকল্পনায় বামিয়ান ও ওয়ারদাক প্রদেশকে অবহেলা করা হয়েছে।
আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ ফার্সি ভাষী হাজারা জনগোষ্ঠীর এবং তারা মূলত ওই দুটি প্রদেশেই বসবাস করে।
বামিয়ান ও ওয়ারদাক প্রদেশের ভেতর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন বসানোর দাবিতে শনিবার কয়েক হাজার মানুষ রাজধানীর দেহ মাজাং স্কয়ারে সমবেত হয়।
বিক্ষোভ-সমাবেশ উপলক্ষে সরকার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও ভিড়ের মধ্যেই আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়।
সূত্র: বিডিনিউজ