নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাবি শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি পালন করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে চিকিৎসার অভাবে দূর্ভোগে পড়েন রোগী ও তার স্বজনরা। আনেক রোগীকে দেখা গেছে চিকিসা সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কাজে ফেরাতে আলোচনায় বসে। শেষে প্রায় ২৪ ঘন্টা পরে আজ দুপুর আড়াইটার দিকে কাজে যোগ দেন ইন্টার্নরা। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
এদিকে আজও হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে হামলাকারী রাবি শিক্ষার্থীদের বিচার দাবি করেন ইন্টার্নরা।
রোববার সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে অনেক রোগী চিকিৎসা না পেয়ে ফেরৎ যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতালে ভর্তি হলেও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনুপস্থিতিতে ভেঙ্গে পড়েছে হাসপাতাল সেবার মান। কেউ সিজারিয়ান, কেউ ডেঙ্গু, আবার সাধারণ জ্বর নিয়েও সেবা নিতে এসে না পাওয়ায় ফিরেছেন রোগীরা।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে আড়াই হাজার রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের সেবায় ইন্টার্নরা না থাকায় পড়েছেন বিপাকে।
নওগাঁর সাপাহর থেকে বাচ্চা প্রসাবের জন্য রামেক হাসপাতলে স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন মাসুদ রানা। তিনি বলেন, সাকলে হসপাতালে জরুরী বিভাগে এসে টিকিট নিতেই দেরি হয়েছে। এরপর ওয়ার্ডে গেলেও ডাক্তারের দেখা পায়নি। তাই বাধ্য হয়েই বউকে নিয়ে বেসরকারি হাসপাতলে যাচ্ছি।
হাসপাতের জরুরী বিভাগ থেকেই ফিরে যাচ্ছিলেন মনির হোসেন। তিনি বলেন, সকাল থেকেই জ্বর। তাই এখানে ভর্তি হতে এসেছিলাম। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় এখানে ভর্তি না হয়েই বাহিরে ভর্তি হবার জন্যই চলে যাচ্ছি।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসক ছাড়া হাসপাতল চালানো বেশ কঠিন। তারা কাজে না ফিরে আসলে চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়বে। সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিতে ইন্টার্নদের সাথে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। তবে ধর্মঘট চলাকালীন সিনিয়র ডাক্তারদের নিজ নিজ ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ফলে কিছুটা দুর্ভোগ কম হয়েছে। ইন্টার্নরা কাজে ফিরে এসেছেন, এখন আবারও রামেকে পূরো চিকিৎসা সেবা ফিরে আসবে।
স/আর