সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ
ওয়াদুদ আলী পেশায় দর্জি। প্রতিদিন ফুটপাতে বসেন। তৈরি করেন নিম্ন আয়ের মানুষের পোশাক। সেই আয়ই তার জীবিকা। কিন্ত করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তিনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফুটপাতে বসেও মিলছে না কাজ। রবিবার সকাল ১১টার দিকে বগুড়ার ধুনট প্রেস ক্লাবের সামনে ফুটপাতে সেলাই মেশিনের ওপর মাথা রেখে ওয়াদুদ আলীর কর্মহীন অলস সময় পার করার এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
ওয়াদুদ আলী একা নয়, তার মতো যাদের দিন এনে দিন কাটে টেনেটুনে, তিন বেলা ভাত জোটানো তাদের জন্য কষ্টকর। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে তাদের কাছে তিনবেলা খাবার খেতে পাওয়াটাই এখন বড় চিন্তা। সকাল থেকেই শহর অপেক্ষাকৃত ফাঁকা। নেই লোকসমাগম। রাস্তায় টহল দিচ্ছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। ঘর থেকে বের না হতে ঘোষণা দিয়ে চলছে মাইকিং।
আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন করা না হলেও ২৬ মার্চ থেকে কার্যত পুরো শহর লকডাউন হয়ে আছে। এ সময়ের মধ্যে ফার্মেসি আর নিত্যপণ্যর দোকান ছাড়া সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষকে ঘরে রাখতে চলছে নানা কার্যক্রম। আর এই স্বেচ্ছাবন্দিতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
দর্জি ওয়াদুদ আলী বলেন, রোগের ভয়ের চেয়ে পেটের ক্ষুধার জ্বালা অনেক বেশি। ঘরে বসে থাকলে খাবার দেবে কে? তাই বের হয়েছি। কিন্তু শহরে মানুষ নাই কাজও পাইতাছি না। পেট চলব কেমনে? পান বিক্রেতা আব্দুল জলিল বলেন, প্রতিদিন পান বিক্রি করে যা আয় হতো তা দিয়ে সংসার চলত। কিন্তু বর্তমানে মানুষের সমাগম বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নির্দেশে দোকান বন্ধ। এখন আমরা গরিব মানুষ কোথায় যাব। এভাবে কিছুদিন গেলে না খেয়ে থাকতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নগদ টাকা ও ত্রাণ এসে পৌঁছেছে, কিছু ত্রাণ আসছে। কর্মহীন মানুষের মাঝে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে।