নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাস শনাক্তে পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন আনা হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় মেশিনটি রামেক হাসপাতালের ল্যাবে পৌঁছেছে।
ইতোমধ্যে মেশিন বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তা শেষ হলে এখন থেকে এখানেই করোনাভাইরাস সহ বিভিন্ন ধরনের জটিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই মেশিন বসানো কার্যক্রম শেষ হবে বলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আর এটি চালু হলে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা জানতে পরীক্ষার জন্য রোগীদের ঢাকায় দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না। রাজশাহীতেই পরীক্ষা করা হবে যাবে করোনার ভাইরাসের।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডাক্তার সাইফুল ফেরদৌস জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের বায়োরলজি বিভাগে পিসিআর মেশিন এসেছে। মেশিনে করোনা সনাক্তসহ বিভিন্ন জটিল পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, এ মেশিন বসানো কার্যক্রম চলছে। মেশিন বসানোর প্রক্রিয়া শেষ হলে আর কাউকে ঢাকা যেতে হবে না এখান থেকেই এ ভাইরাসের পরীক্ষা সম্ভব হবে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ কার্যক্রম শেষ হবে।
একইসঙ্গে করোনার চিকিৎসা সেবায় সংশ্লিষ্টদের জন্য এক হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণও (পিপিই) পৌঁছেছে রাজশাহীতে। এছাড়া এক হাজার পিস মাস্ক, এক হাজার হ্যান্ড গ্লাভস ও পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যানিটাইজার এসেছে বলেও জানান উপপরিচালক।
এদিকে শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রামেক হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, সাতদিনের মধ্যেই গণপূর্ত বিভাগ মেশিনটির স্থাপন কাজ শেষ করবে। আর মেশিনটি স্থাপন হলেই এটির মাধ্যমে করোনা ভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা সম্ভব হবে। আশা করছি, এরমধ্যেই হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিটও চলে আসবে।
তিনি আরো বলেন, মেশিনটি স্থাপন ও তা পরিচালনার জন্য ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞরা আসবেন। মেশিন স্থাপনের পর তারা স্থানীয়ভাবে যারা পরিচালনা করবেন তাদের প্রশিক্ষিত করবেন। খুব শিগগিরই কাজটি শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আর কেবল রাজশাহী নয় রংপুরসহ দেশের আরও ছয়টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর মেশিন পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই সেগুলো স্থাপন করা হবে।
স/অ