করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি তীব্র হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতের অন্যতম শীর্ষ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠি।
এজন্য তৃতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে দেবী শেঠি বলেন, ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এখনও শেষ হয়নি। এখনও অনেক রোগী আইসিইউতে রয়েছেন। ফুসফুসের গুরুতর সংক্রমণ রয়েছে বেশ কিছু মানুষের। কোভিড রোগীদের জন্য এখনও সবসময় আইসিইউ খালি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সংক্রমণ নিচের দিকে নেমেছে।
তিনি বলেন, কবে তৃতীয় ঢেউ আসবে, তা আগে থেকে কেউই হয় তো বলতে পারবে না। তবে সেপ্টেম্বরের পরে যে কোনো সময় এই ধাক্কার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
তবে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে কিনা, তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি দেবী শেঠি।
আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে ভারতে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স (এইমস)। ভারতে করোনার নতুন ধরন ডেলটা প্লাসের কারণে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটি।
করোনার নিত্য নতুন ভ্যারিয়েন্ট প্রসঙ্গেও উদ্বেগ প্রকাশ করে দেবী শেঠি বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় ভারতে আরও অনেক বেশি আইসিইউ বেড, অক্সিজেন বেড, পেডিয়াট্রিক বেডের প্রয়োজন।
পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকা নিয়ে ভারতে যে হাহাকার চলছে তা আগামী এক মাসের মধ্যেই সমাধান হবে বলে আশা করেন তিনি।
ভারতের এই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, অ্যাসিম্পটোমেটিক রোগীরা সাধারণত করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় ভোগেন না। যারা আইসিইউতে ছিলেন, বা স্টেরয়েড দিতে হয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা দেখা যেতে পারে। তবে কী করে এ সমস্যা মেটানো যায়, তা নিয়ে গবেষণা চলছে।
তৃতীয় ঢেউ রুখতে টিকা নেওয়াকেই একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন তিনি।