কমলালেবুর যত কারিশমা

লাইফস্টাইল ডেস্ক :
কমলা ফল বা জুস হিসেবে খাওয়া হয়। ফ্রুট সালাদ ও বিভিন্ন ডেজার্টেও এর ব্যবহার রয়েছে। কমলার খোসা দিয়ে তৈরি হয় অরেঞ্জ অয়েল যা খাবারে ফ্লেভার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কমলার খোসা দিয়ে ড্রিংকস ও পারফিউম তৈরি হয়।

কমলা ফুলের পাপড়ি দিয়ে রোজ ওয়াটারের ফ্রুট ভার্সন অরেঞ্জ ওয়াটার তৈরি হয়। কমলার পাতা পানিতে সিদ্ধ করে তৈরি করা হয় হারবাল চা। কমলার আচার ও জেলি বহু আগে থেকেই বাজারে ও খাবার টেবিলে সহজলভ্য একটি উপাদান।

পুষ্টিমান

•     এন্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইবার ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ কমলা ত্বক, চোখ ও হৃৎপিণ্ডের জন্য আদর্শ খাবার। এটি নিয়মিত খেলে শরীরে ক্যানসার সেল বেড়ে উঠতে পারে না।
•     কমলাতে উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন একটি শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট। চোখের জন্য ভালো এ ফলটি ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচায় ও বয়সের ছাপ দূরে রাখে।
•     ভিটামিন এ ও সি দুটোই ভীষণ শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট। এগুলো ফ্রি রেডিক্যালসের খারাপ প্রভাব থেকে ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ রাখে। পাশাপাশি কার্ডিওভাস্কুলার ডিজেজ প্রতিরোধ করে।
•     কমলায় ক্যালরির পরিমাণ খুব কম। এতে কোনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট নেই। রয়েছে প্যাকটিন– একটি ডায়েটারি ফাইবার যা শরীরের অতিরিক্ত ওজন ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।
•    এতে আরও রয়েছে হেসপারেটিন, নারিনগিন ও নারিজেনিন ফ্লেভোনয়েড যা এন্টি-অক্সিডেন্ট, এন্টি-ইনফ্লেমেটরি হিসেবে কাজ করে ও ইমিউন সিস্টেমের সুস্থতা বজায় রাখে।

আপনি জানেন কি-

•     ভ্যানিলা ও চকলেটের পর সারা বিশ্বে জনপ্রিয় ফ্লেভার হচ্ছে কমলা।
•     ইংল্যান্ড ও ইতালিতে কমলা ও কমলার ফুল কসমেটিক্স ও পারফিউমে ব্যবহৃত হয়।